হজ্জ ও ওমরার ফযীলত
হজ্জ ও ওমরার ফযীলত বর্ণনায় রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে অনেক হাদীছ বর্ণিত হয়েছে; তন্মধ্যে কয়েকটি নীচে উল্লেখ করা হল:
১. রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«الْعُمْرَةُ إِلَى الْعُمْرَةِ كَفَّارَةٌ لِمَا بَيْنَهُمَا وَالْحَجُّ الْمَبْرُورُ لَيْسَ لَهُ جَزَاءٌ إِلاَّ الْجَنَّةُ»
‘এক ওমরা থেকে আরেক ওমরা পালন এতদুভয়ের মধ্যবর্তী সময়ের ছগীরা গোনাহসমূহের কাফফারাস্বরূপ। আর ক্ববূল হজ্জের বিনিময় জান্নাত বৈ কিছুই নয়’ (বুখারী, হা/১৭৭৩; মুসলিম, হা/৩২৮৯, হাদীছটি আবূ হুরায়রা (রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু)-এর সূত্রে বর্ণিত)।
২. রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেন,
«تَابِعُوا بَيْنَ الْحَجِّ وَالْعُمْرَةِ فَإِنَّهُمَا يَنْفِيَانِ الْفَقْرَ وَالذُّنُوبَ كَمَا يَنْفِى الْكِيرُ خَبَثَ الْحَدِيدِ وَالذَّهَبِ وَالْفِضَّةِ وَلَيْسَ لِلْحَجَّةِ الْمَبْرُورَةِ ثَوَابٌ إِلاَّ الْجَنَّةُ»
‘তোমরা হজ্জ ও ওমরা পালনের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখ। কেননা এতদুভয় দরিদ্রতা এবং গোনাহ দূর করে দেয়, যেমনিভাবে হাপর লোহা ও সোনা-রূপার ময়লা দূর করে। আর ক্ববূল হজ্জের প্রতিদান জান্নাত বৈ কিছুই নয়’ (তিরমিযী, হা/৮১০; ইবনে খুযায়মা, হা/২৫১২; নাসা‘ঈ, হা/২৬৩১, ইবনে মাসঊদ (রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু) থেকে হাদীছটি বর্ণিত এবং হাদীছটি ‘হাসান’। ইমাম নাসা‘ঈ ইবনে আব্বাস (রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা) থেকে ‘ছহীহ’ সূত্রেও হাদীছটি বর্ণনা করেছেন (হা/২৬৩০), তবে সেখানে ‘সোনা-রূপার’ কথা আসে নি এবং শেষ বাক্যটিও বর্ণিত হয়নি)।
৩. উম্মুল মুমিনীন আয়েশা (রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা) হতে বর্ণিত, তিনি রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞেস করেন,
«يَا رَسُولَ اللَّهِ نَرَى الْجِهَادَ أَفْضَلَ الْعَمَلِ، أَفَلَا نُجَاهِدُ؟»
‘হে আল্লাহ্র রাসূল! জিহাদকে আমরা উত্তম আমল মনে করি, তাহলে কি আমরা জিহাদ করব না?’ জবাবে রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«لَا، لكُنَّ أَفْضَلُ الْجِهَادِ حَجٌّ مَبْرُورٌ»
‘না! তোমাদের জন্য উত্তম জিহাদ হচ্ছে, ক্ববূল হজ্জ’ (বুখারী, হা/১৫২০)। হাফেয ইবনে হাজার (রহেমাহুল্লাহ) ফতহুল বারীতে (৩/৩৮২) বলেন, ‘অধিকাংশ বিদ্বান (لكُنَّ)-এর ‘কাফ’ (كُ) বর্ণে পেশ দিয়ে পড়েছেন। শব্দটি মহিলাদের সম্বোধন সূচক পদ হিসাবে ব্যবহৃত হয়েছে। তবে ‘কাফ’ (كِ) বর্ণে জের দিয়ে এবং ‘কাফ’-এর পূর্বে একটি অতিরিক্ত আলিফ যোগেও শব্দটি পড়া হয়েছে। সেক্ষেত্রে এটি ‘ইস্তিদরাক’ (استدراك) বা প্রতিকার অর্থে ব্যবহৃত হবে’। অতঃপর ইবনে হাজার বলেন, ‘পেশ দিয়ে পড়লে শব্দটি বেশী ফায়দা দেয়। কেননা এক্ষেত্রে শব্দটি একদিকে যেমন হজ্জের ফযীলত সাব্যস্ত করে, অন্যদিকে তেমনি আয়েশা (রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা)-এর জিহাদ সম্পর্কিত প্রশ্নের জবাবও শামিল করে’। তাছাড়া শব্দটি ‘ইস্তিদরাক’ অর্থে ব্যবহৃত হলে হাদীছটি থেকে এও বুঝা যেতে পারে যে, হজ্জ জিহাদের চেয়ে উত্তম। আর এমন অর্থ আবূ হুরায়রা (রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু) বর্ণিত আগত হাদীছের বিরোধী। অতএব, এই যুক্তিও ইবনে হাজার (রহেমাহুল্লাহ)-এর অভিমতকে শক্তিশালী করে।
ইবনে মাজাহ (হা/২৯০১) এবং ইবনে খুযায়মা (হা/৩০৭৪) উম্মুল মুমিনীন আয়েশা (রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন,
«قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللهِ، هَلْ عَلَى النِّسَاءِ مِنْ جِهَادٍ؟»
‘আমি জিজ্ঞেস করলাম, হে আল্লাহ্র রাসুল! মহিলাদের উপর কি জিহাদ আছে?’ তিনি বললেন,
«عَلَيْهِنَّ جِهَادٌ لاَ قِتَالَ فِيهِ: الْحَجُّ وَالْعُمْرَةُ»
‘তাদের উপর জিহাদ আছে, তবে তাতে লড়াই নেই। আর তা হচ্ছে, হজ্জ ও ওমরা’।
৪. আবূ হুরায়রা (রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, সর্বোত্তম কাজ কোন্টি? জবাবে তিনি বলেছিলেন, ‘আল্লাহ এবং তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর প্রতি ঈমান আনা’। তাঁকে বলা হয়েছিল, এরপর কি? তিনি বলেছিলেন, ‘আল্লাহ্র রাস্তায় জিহাদ করা’। তাঁকে আবার বলা হয়েছিল, এরপর কি? তিনি বলেছিলেন, ‘ক্ববূল হজ্জ’ (বুখারী, হা/২৬; মুসলিম, হা/২৪৮)।
৫. আবূ হুরায়রা (রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু) বলেন, আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি,
«مَنْ حَجَّ لِلَّهِ فَلَمْ يَرْفُثْ وَلَمْ يَفْسُقْ رَجَعَ كَيَوْمِ وَلَدَتْهُ أُمُّهُ»
‘যে ব্যক্তি হজ্জ করল এবং স্ত্রী সহবাস, যাবতীয় অশ্লীল কর্ম ও গালমন্দ থেকে বিরত থাকল, সে ঐদিনের মত হয়ে প্রত্যাবর্তন করল, যেদিন তার মা তাকে প্রসব করেছিলেন’ (বুখারী, হা/১৫২১; মুসলিম, হা/৩২৯১)।
৬. রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমর ইবনুল আছ (রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা) কে বলেছিলেন,
«أَمَا عَلِمْتَ أَنَّ الإِسْلاَمَ يَهْدِمُ مَا كَانَ قَبْلَهُ وَأَنَّ الْهِجْرَةَ تَهْدِمُ مَا كَانَ قَبْلَهَا وَأَنَّ الْحَجَّ يَهْدِمُ مَا كَانَ قَبْلَهُ»
‘হে আমর! তুমি কি জানো না যে, ইসলাম তার পূর্ববর্তী সকল গোনাহ মোচন করে দেয়? হিজরত তার পূর্ববর্তী সকল গোনাহ মোচন করে দেয়? হজ্জ তার পূর্ববর্তী সকলগেোনাহ মোচন ধ্বংস করে দেয়?’ (মুসলিম, হা/৩২১)।
রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর পদ্ধতিতে যে হজ্জ সম্পন্ন করা হয়, যাতে অশ্লীল কর্ম ও কথার সংমিশ্রণ না থাকে এবং ইহরাম অবস্থায় নিষিদ্ধ বিষয়সমূহ থেকে বিরত থাকা হয়, সেটিই হচ্ছে ‘ক্ববূল হজ্জ’। জাবের (রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু) বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, «لِتَأْخُذُوا مَنَاسِكَكُمْ فَإِنِّى لاَ أَدْرِى لَعَلِّى لاَ أَحُجُّ بَعْدَ حَجَّتِى هَذِهِ» ‘তোমরা (আমার কাছ থেকে) হজ্জের নিয়ম-কানূন শিখ। আমি জানি না, সম্ভবতঃ আমার এই হজ্জের পরে আমি আর হজ্জ করব না’ (মুসলিম, হা/৩১৩৭)। ইমাম নাসা‘ঈ (হা/৩০৬২) বুখারী ও মুসলিমের শর্তানুযায়ী ছহীহ সনদে বর্ণনা করেন, ‘হে মানবমণ্ডলী! তোমরা (আমার কাছ থেকে) হজ্জের পদ্ধতি শিখ। আমি জানি না, সম্ভবতঃ এই বছর পরে আমি আর হজ্জ করব না’।
আর ক্ববূল হজ্জের নিদর্শন হচ্ছে, হজ্জ থেকে ফিরে হাজী ছাহেব সুন্দর থেকে সুন্দরতর এবং মন্দ থেকে ভালোর পথে পা বাড়াবে। কেউ যদি হজ্জের পূর্বে কোন পাপাচারে পতিত হয়ে থাকে, তাহলে হজ্জে গিয়ে তাকে খাঁটি তওবা করতে হবে; পাপকাজ বর্জনের অঙ্গীকার করতে হবে, ঘটিত পাপের জন্য অনুশোচনা প্রকাশ করতে হবে এবং পুনরায় ঐপাপে লিপ্ত না হওয়ার দৃঢ় সংকল্প করতে হবে। তবে তার পাপ যদি কোন মানুষের সাথে সম্পর্কিত হয়, তবে তা মিটিয়ে নেওয়ার কয়েকটি পদ্ধতি রয়েছে: যদি তা অর্থনৈতিক কোনো বিষয় হয় এবং যার সাথে লেনদেন, সে তা মাফ না করে, তাহলে অর্থ পরিশোধ করে দিতে হবে। আর মুখ এবং হাত দ্বারা যদি কাউকে কষ্ট দিয়ে থাকে, তাহলে সেক্ষেত্রে তার কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। উল্লেখ্য যে, কাউকে কষ্ট দেওয়ার বিষয়টি তার সামনে উল্লেখ করতে গেলে যদি হিংসা-বিদ্বেষ এবং দ্বন্দ্ব আরো বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে, তাহলে সে বিষয়টি তাকে না বলে সাধারণভাবে তার কাছে ক্ষমা চাইতে হবে, তার যথোপযুক্ত প্রশংসা করতে হবে এবং তার জন্য দো‘আ করতে হবে। উক্ত বিষয়গুলি মেনে চলতে পারলে হজ্জ তার সামনে কল্যাণের দুয়ার উম্মুক্ত করে দিবে এবং সে আল্লাহ্র ভীতিপূর্ণ ও সরল পথে প্রতিষ্ঠিত নতুন জীবন শুরু করতে পারবে। কিন্তু হজ্জের পূর্বে তিনি যদি মন্দ কাজে লিপ্ত থাকেন এবং হজ্জের পরেও সেই ধারাবাহিকতা বজায় রাখেন, তাহলে বুঝতে হবে, তার হজ্জ ক্ববূল হয় নি।
ছালাত, হজ্জসহ অন্যান্য সৎ আমল যেসব গোনাহ্র কাফফারাহ হয়, সেগুলি হচ্ছে, ছগীরা বা ছোট গোনাহ। মহান আল্লাহ বলেন,
﴿ إِن تَجۡتَنِبُواْ كَبَآئِرَ مَا تُنۡهَوۡنَ عَنۡهُ نُكَفِّرۡ عَنكُمۡ سَئَِّاتِكُمۡ﴾ [النساء: ٣١]
‘যেসব বড় গোনাহ থেকে তোমাদেরকে নিষেধ করা হয়েছে, সেগুলি থেকে যদি তোমরা বেঁচে থাকতে পার, তবে আমি তোমাদের ক্রটি-বিচ্যুতিগুলি ক্ষমা করে দেব’ (নিসা ৩১)। আর রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেন, ‘পাঁচ ওয়াক্ত ছালাত, এক জুম‘আ অপর জুম‘আর সময় পর্যন্ত এবং এক রামাযান অপর রামাযানের সময় পর্যন্ত ছোট গোনাহসমূহের কাফফারাস্বরূপ, যদি বড় গোনাহসমূহ থেকে বেঁচে থাকা যায়’ (মুসলিম, হা/৫৫২, আবূ হুরায়রা (রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু)-এর সূত্রে বর্ণিত)। তবে কাবীরাহ বা ছোট গোনাহসমূহ তওবা ছাড়া মোচন হয় না।
সুতরাং ছোট-বড় যাবতীয় গোনাহ থেকে তওবা করে একজন হাজী সদ্য প্রসূত নিষ্পাপ শিশুর মত হয়ে হজ্জ থেকে ফেরার মহা সাফল্য অর্জন করতে পারে। পক্ষান্তরে কেউ তওবা না করে যদি পাপ করে অথবা পাপ করার সংকল্প করে, তাহলে সে অপরাধী এবং নিন্দিত হিসাবে গণ্য হবে। এরশাদ হচ্ছে,
﴿ مَن جَآءَ بِٱلۡحَسَنَةِ فَلَهُۥ عَشۡرُ أَمۡثَالِهَاۖ وَمَن جَآءَ بِٱلسَّيِّئَةِ فَلَا يُجۡزَىٰٓ إِلَّا مِثۡلَهَا وَهُمۡ لَا يُظۡلَمُونَ ١٦٠ ﴾ [الانعام: ١٦٠]
‘যে ব্যক্তি একটি সৎকর্ম করবে, সে তার দশগুণ পাবে এবং যে একটি মন্দ কাজ করবে, সে তার সমান শাস্তিই পাবে। বস্তুতঃ তাদের প্রতি যুলম করা হবে না’ (আন‘আম ১৬০)। উক্ত আয়াতের ব্যাখ্যায় হাফেয ইবনে কাছীর (রহেমাহুল্লাহ) বলেন, ‘পাপ কাজ পরিত্যাগকারী তিন ধরনেরঃ প্রথম শ্রেণীর পাপ পরিত্যাগকারী আল্লাহ্র সন্তুষ্টির জন্যই পাপ বর্জন করে। আর আল্লাহ্র সন্তুষ্টির জন্য পাপ বর্জনের কারণে তার আমলনামায় নেকী লেখা হবে। কেননা এক্ষেত্রে আমল এবং নিয়্যত উভয়ই বিদ্যমান রয়েছে। সেজন্য ছহীহ হাদীছে এসেছে, আল্লাহ বলেন, ‘সে আমার জন্য পাপ বর্জন করেছে’। দ্বিতীয় শ্রেণীর পাপ বর্জনকারী ভুলবশতঃ এবং অন্যমনস্ক হয়ে পাপ বর্জন করে। আর এই শ্রেণীর পাপ বর্জনকারীর নেকী বা পাপ কোনটিই হবে না। কেননা সে কল্যাণেরও নিয়্যত করে নি, আবার মন্দ কাজও সম্পাদন করে নি। আরেক শ্রেণীর পাপ বর্জনকারী পাপ কাজের প্রচেষ্টা করার পর অপারগতা এবং অলসতাবশতঃ তা ত্যাগ করে। এই শ্রেণীর পাপ বর্জনকারী পাপ সম্পাদনকারীর মতই। রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, “দু’জন মুসলিম তরবারী নিয়ে লড়াইয়ে লিপ্ত হলে হত্যাকারী এবং নিহত উভয়ই জাহান্নামে যাবে।” ছাহাবায়ে কেরাম (রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুম) জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহ্র রাসূল! হত্যাকারীর বিষয়টিতো স্পষ্ট; কিন্তু নিহত ব্যক্তি কেন জাহান্নামে যাবে? তিনি বললেন, কারণ নিহত ব্যক্তিও হত্যাকারীকে হত্যার ব্যাপারে আগ্রহী ছিল’ (বুখারী, হা/৩১; মুসলিম, হা/৭২৫৩, আবূ বাকরা (রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু) থেকে বর্ণিত)।