ইসলামি অর্থনীতির পরিচয় ও মূলনীতি, গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা

ইসলামী অর্থনীতি কি?

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন ও তাঁর রাসূল (সা.) প্রদত্ত জীবন বিধানের নাম ইসলাম। যেহেতু ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান সেহেতু এর অনুসারীদের জন্যে ব্যক্তিজীবন, গোষ্ঠীজীবন, সামাজিক তথা রাষ্ট্রীয় জীবনের দায়-দায়িত্ব ও অধিকার-কর্তব্য পালনের সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা ও উপযুক্ত নীতিমালা ইসলামে রয়েছে। এর মধ্যে অন্তর্ভূক্ত রয়েছে পরিবার, সমাজ, রাজনীতি, অর্থনীতি, প্রশাসন, আইন ও বিচার প্রভৃতিও। অর্থনীতি বা লেনদেনগত আলোচনা যে কোন জাতি বা রাষ্ট্রের জন্যে অপরিহার্য একটি প্রসঙ্গ। ইসলামী জীবন বিধানের অনুসারীদের জন্যেও একথা সত্য। তাই ইসলামী অর্থনীতি বলতে ঐ অর্থনীতিকেই বোঝায় যার আদর্শ, উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য, কর্মপদ্ধতি এবং পরিণাম ফল ইসলামী আকিদা অনুযায়ী নির্ধারিত হয়। [গবেষনাপ্রবন্ধ- ইসলামী অর্থনীতির সংজ্ঞা ও মূলনীতি, লেখক- ড. মো. ইব্রাহীম খলিল]

ইসলামী অর্থনীতির সংজ্ঞা

বর্তমান সময়ের কয়েকজন প্রথিতযশা অর্থনীতিবিদ ইসলামী অর্থনীতির একটি সুসংবদ্ধ ও গ্রহণযোগ্য সংজ্ঞা প্রদানের চেষ্টা করেছেন। সেসবের মধ্যে খুবই তাৎপর্যপূর্ণ ও গ্রহণযোগ্য দুটি সংজ্ঞা প্রদত্ত হলো—

এক. ড. এস. এম. হাসানউজ্জামানের মতে- “Islamic Economics is the knowledge and application of injunctions and rules of the Shariah that prevent injustice in the acquisition and disposal of material resources in order to provide satisfaction to human beings and enable them to perform their obligations to Allah and the society.”[Hassanuz Zaman, S.M., “Definition of Islamic Economics”]

অর্থাৎ, ইসলামী অর্থনীতি হচ্ছে শরীয়াহর বিধি-নির্দেশ সম্বন্ধীয় জ্ঞান ও তার প্রয়োগ যা বস্তুগত সম্পদ আহরণ ও বিতরণের ক্ষেত্রে অবিচার প্রতিরোধে সমর্থ যেন এর ফলে মানবম-লীর সন্তুষ্টি বিধান করা যায়। ফলে আল্লাহ ও সমাজের প্রতি তারা দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনে সক্ষম হবে। [গবেষনাপ্রবন্ধ- ইসলামী অর্থনীতির পরিচয়, লেখক- এমএম হাসানুজ্জামান]

দুই. আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন অর্থনীতিবিদ ডা এম. উমার চাপরার মতে- “Islamic economics is that branch of knowledge which helps realize human wellbeing through an allocation and distribution of scarce resources that is in conformity with Islamic teachings without unduly curbing individual freedom or creating continued macroeconomic and ecological imbalabces.”[Chapra, M. Umer, What is Islamic Economics? Islamic Research and Training Institute, Islamic Development Bank, Jeddah, 1996, p. 33]

অর্থাৎ, ইসলামী অর্থনীতি জ্ঞানের সেই শাখা যা ইসলামের শিক্ষার সাথে সংগতি রেখে দুষ্প্রাপ্য সম্পদের বন্টন ও বরাদ্দের মাধ্যমে এবং ব্যক্তির স্বাধীনতা অযথা খর্ব ও সমষ্টি অর্থনীতি এবং পরিবেশগত ভারসাম্যহীনতার সৃষ্টি না করে মানবীয় কল্যাণ অর্জনের সহায়তা করে। [ডা. এম উমর চাপরা, ইসলামী অর্থনীতি কি?, ইসলামিক রিসার্চ এণ্ড ট্রেনিং ইনিস্টিটিউট, ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক, জেদ্দা, ১৯৯৬, পি-৩৩]

অর্থনীতির প্রকারভেদ

মোটা দাগে অর্থনীতি প্রধাননত তিন প্রকার হতে পারে। যথা : ১. ইসলামী অর্থনীতি। ২. অনিসলামী অর্থনীতি বা সাধারনণ অর্থনীতি। ৩. ইসলামবিরোধী অর্থনীতি।

১. ইসলামী অর্থনীতি : ইসলামী অর্থনীতি বরতে সম্পদ উপার্জন, প্রাপ্তি, বিনিময়, বিনিয়োগ, বিতরণ, ভোগ ও
ব্যবহারের ইসলামী শরীয়াহসম্মত নীতি অনুসৃত হওয়া বাঞ্চনীয় বা এই নীতি মানতে অঙ্গীকারাবদ্ধ।

২. অনিসলামী অর্থনীতি বা সাধারণ অর্থনীতি : যে অর্থনীতি ইসলামী পদ্ধতি অনুসরণে অঙ্গীকারাবদ্ধ নয় এবং ইসলামের সাথে সাংঘর্ষিকও নয়।

৩. ইসলামবিরোধী অর্থনীতি : যে অর্থনীতির পদ্ধতি ইসলামের সাথে সাংঘর্ষিক। [সূত্র- শাইখ মুফতি উসমান গণী লিখিত ইসলামে অর্থনৈতিক রূপরেখা]

ইসলামী অর্থব্যবস্থার মূলনীতি

প্রতিটি অর্থব্যবস্থা বা অর্থনীতির মতো ইসলামী অর্থনীতির কিছু মূলনীতি বা মূল বিষয় রয়েছে। আর এই সব মূলনীতিই মূলত ইসলামী অর্থনীতির প্রাণ বা মূল ভিত্তি। কোরআন ও হাদিস আলোকে মোটা সাতটি বিষয়কে ইসলামী অর্থনীতির মূলনীতি হিসেবে গ্রহণ বা সাব্যস্ত করা হয়-

এক. অর্থোপার্জনের ক্ষেত্রে হালাল-হারামের পার্থক্য করা :  ইসলাম মনে করে সম্পদ উপার্জনের ক্ষেত্রে মানুষের অবাধ স্বাধীনতা নেই। বরং আল্লাহ যে উপায়ে উপার্জন করাকে হালাল করেছেন, কেবল সে উপায়েই উপার্জন করা যাবে। আল্লাহ বলেন, হে ঈমানদারগণ! তোমরা একে অপরের সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস করো না। কেবলমাত্র তোমাদের পরস্পরের সম্মতিক্রমে যে ব্যবসা করা হয় তা বৈধ। (৪:২৯)

দুই. সম্পদ কুক্ষিগত করতে নিষেধাজ্ঞা : ইসলাম মানুষকে ইচ্ছে মতো সম্পদ সঞ্চয় করে রাখতে নিরুৎসাহিত করে। আল্লাহ বলেন, আল্লাহ তাদেরকে নিজের অনুগ্রহে যা দান করেছেন তাতে যারা কৃপণতা করে এই কার্পন্য তাদের জন্য মঙ্গলকর হবে বলে তারা যেন ধারণা না করে। বরং এটা তাদের পক্ষে একান্তই ক্ষতিকর প্রতিপন্ন হবে। যাতে তারা কার্পন্য করে সে সমস্ত ধন-সম্পদকে কিয়ামতের দিন তাদের গলায় বেড়ী বানিয়ে পরানো হবে। আর আল্লাহ হচ্ছেন আসমান ও যমীনের পরম সত্ত্বাধিকারী। আর যা কিছু তোমরা কর; আল্লাহ সে সম্পর্কে জানেন। (৩:১৮০)

তিনি আরো বলেন,

আর যারা স্বর্ণ ও রূপা জমা করে রাখে এবং তা ব্যয় করে না আল্লাহর পথে, তাদের কঠোর আযাবের সুসংবাদ শুনিয়ে দিন। (৯:৩৪)

চার. ব্যয়-বিনিয়োগের নির্দেশ : সম্পদ কুক্ষিগত করে রাখার পরিবর্তে ইসলাম নির্দেশ দেয় তা প্রয়োজনীয় খাতে ব্যয় করার এবং ব্যবসায় বিনিয়োগ করার। আল্লাহ বলেন, তোমার কাছে জিজ্ঞেস করে, কি তারা ব্যয় করবে? বলে দাও-যে বস্তুই তোমরা ব্যয় কর, তা হবে পিতা-মাতার জন্যে, আত্নীয়-আপনজনের জন্যে, এতীম-অনাথদের জন্যে, অসহায়দের জন্যে এবং মুসাফিরদের জন্যে। আর তোমরা যে কোন সৎকাজ করবে, নিঃসন্দেহে তা অত্যন্ত ভালভাবেই আল্লাহর জানা রয়েছে। (২:২১৫)

তিনি আরো বলেন, এবং তাদের ধন-সম্পদে প্রার্থী ও বঞ্চিতের হক ছিল। (৫১:১৯)

পুঁজিবাদী অর্থব্যবস্থায় মনে করা হয়, সম্পদ সুদভিত্তিক বিনিয়োগ করলে অতিরিক্ত মুনাফা হবে। ইসলাম তা অস্বীকার করে। আল-কুরআন ঘোষণা দেয়, আল্লাহ তা’আলা সুদকে নিশ্চিহ্ন করেন এবং দান খয়রাতকে বর্ধিত করেন। আল্লাহ পছন্দ করেন না কোন অবিশ্বাসী পাপীকে। (২:২৭৬)

আল্লাহ বলেন, মানুষের ধন-সম্পদে তোমাদের ধন-সম্পদ বৃদ্ধি পাবে, এই আশায় তোমরা সুদে যা কিছু দাও, আল্লাহর কাছে তা বৃদ্ধি পায় না। পক্ষান্তরে, আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় পবিত্র অন্তরে যারা দিয়ে থাকে, অতএব, তারাই দ্বিগুণ লাভ করে। (৩০:৩৯)

সুদভিত্তিক বিনিয়োগের কারণে সম্পদ একটি নির্দিষ্ট শ্রেণীর হাতে চলে যায়। গরীবের হাতে সম্পদ থাকে না। ফলে তাদের ক্রয় ক্ষমতা হ্রাস পায়। যা বাজারের সামগ্রিক চাহিদা কমিয়ে দেয়। ফলে শিল্প-কলকারখানা বন্ধ হয়ে যায় ও বেকারত্ব বৃদ্ধি পায়। অপরাধ প্রবণতা বৃদ্ধি পায়। এক কথায়, পুরো অর্থব্যবস্থা থমকে দাঁড়ায়।

পাঁচ. পরস্পরকে সহযোগিতা করা : পরস্পরকে সহযোগিতা করা ইসলামী অর্থব্যবস্থার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। আল্লাহ বলেন, যদি খাতক অভাবগ্রস্থ হয়, তবে তাকে সচ্ছলতা আসা পর্যন্ত সময় দেয়া উচিত। আর যদি ক্ষমা করে দাও, তবে তা খুবই উত্তম যদি তোমরা উপলব্ধি কর। (২:২৮০)

অনুরূপভাবে আল্লাহ তা’আলা নিভৃতে মানুষকে দান করতে উৎসাহিত করে বলেন, যদি তোমরা প্রকাশ্যে দান-খয়রাত কর, তবে তা কতইনা উত্তম। আর যদি খয়রাত গোপনে কর এবং অভাবগ্রস্তদের দিয়ে দাও, তবে তা তোমাদের জন্যে আরও উত্তম। আল্লাহ তা’আলা তোমাদের কিছু গোনাহ দূর করে দিবেন। আল্লাহ তোমাদের কাজ কর্মের খুব খবর রাখেন। (২:২৭১)

ছয়. যাকাত : প্রয়োজনিতিরক্তি সম্পদ যদি থাকে, তাহলে তার একটি নির্দিষ্ট অংশ অবশ্যই গরীবদের মাঝে বন্টন করে দেয়া। যাকাত নির্দেশ ও বৈশিষ্ট্য বর্ণনা করে আল্লাহ বলেন, তাদের মালামাল থেকে যাকাত গ্রহণ কর যাতে তুমি সেগুলোকে পবিত্র করতে এবং সেগুলোকে বরকতময় করতে পার এর মাধ্যমে। (৯:১০৩)

সাত. মিরাস : ধন-সম্পদ সুষম বন্টনের পরও যা অবশিষ্ট থাকে, মৃত্যুর পর তা বিক্ষিপ্ত করা ও ছড়িয়ে দেয়ার জন্য ইসলাম এ বিধান রেখেছে। [প্রবন্ধ- ইসলামী অর্থনীতির রূপরেখা : প্রেক্ষিত বাংলাদেশ, লেখক- মুফতি ইউসুফ সুলতান, সূত্র- লেখককের ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট]

ইসলামী লেনদেনের বৈশিষ্ট্য

ইসলামী লেনদেনে কয়েকটি বৈশিষ্ট্য রয়েছে এবং ইসলামী অর্থনীতিবিদগণ এইসব বৈশিষ্ট্যকে ইসলামী অর্থনীতির রূহ বলেছেন। আর সেগুলো হলো- ১. সুদমুক্ত হওয়া। ২. ক্ষতির অংশীদারিত্ব থাকা (Risk Sharing)। ৩. প্রকৃত সম্পদের ওপর প্রতিষ্ঠিত অর্থায়ন (Asset based Financing)। ৪. চুক্তিতে সবকিছু নির্দিষ্ট ও নিশ্চিত করা; কোনো অনিশ্চয়তা ও অস্পষ্টতা না রাখা। ৫. হালাল সম্পদের লেনদেন করা। [প্রবন্ধ- ইসলামী অর্থনীতির রূপরেখা : প্রেক্ষিত বাংলাদেশ, লেখক- মুফতি ইউসুফ সুলতান, সূত্র- লেখককের ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট]

ইসলামী অর্থনীতির প্রয়োজনীয়তা

ইসলামি অর্থনীতি ও ঈমান অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। এটি ইসলামি অর্থনীতির সর্বোচ্চ গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। ইসলামি অর্থনীতি থেকে যদি এ বৈশিষ্ট্যকে তুলে নেয়া হয় তাহলে সেটি মুখ থুবড়ে পড়বে। সফলতার আলো দেখতে পাবে না কখনো। আর একজন মুসলিমতার জীবনে কখনো ইমানহীন অর্থব্যবস্থা বা অর্থনীতিকে তার জীবনে গ্রহণ করতে পারে না বা করা উচিত না।

হালাল উপার্জন ছাড়া কোনো ইবাদাত কবুল হয় না। রাসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘হারাম সম্পদে গঠিত কোনো দেহ জান্নাতে প্রবেশ করবে না।’ উক্ত হাদিসটি থেকে আমরা সহজেই অনুমান করতে পারি যে, অর্থনীতিকে ইসলামী শরীয়াহর আদলে ঢেলে সাজানো ঠিক কতটা জরুরি। হালাল উপার্জন এবং এর মাধ্যমে একজন মুসলিমের পরলৌকিক সফলতা অর্জনের নিমিত্তে ইসলামী অর্থব্যবস্থা বা অর্থনীতির প্রয়োজনীয়তা অপরীসীম।

আর ইসলামী ব্যাংকিং ইসলামী অর্থনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ শাখা এবং ইসলামী অর্থনীতি ইসলামী জীবনব্যবস্থার অবিচ্ছেদ্য অংশ। কারণ ইসলামী শরীয়াহ প্রধানত দুটি শাখা রয়েছে। ইবাদত ও মুআমালাত (লেনদেন ও আচার-আচরণ)। আর রাত-দিন ২৪ ঘণ্টা সময়ের মধ্যে সাধারণত ২ ঘণ্টা সময় আল্লাহ্ তাআলা আনুষ্ঠানিক ইবাদাতের জন্য নির্ধারণ করে দিয়েছেনে। বাকী ২২ ঘণ্টা সময় মুআমালাত-এর মধ্য দিয়ে প্রত্যেক মানুষকে অতিবাহিত করতে হয়। আর মুআমালাত-এর বিশাল অংশ জুড়েই রয়েছে ইসলামী অর্থব্যবস্থা। এ অর্থব্যবস্থার প্রধান সমন্বয়কারী প্রতিষ্ঠান হচ্ছে ব্যাংক। সুতরাং ইসলামী ব্যাংকিংকে সমাজে প্রতিষ্ঠিত করতে পারলে ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ একটি দিক প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হবে ইনশাআল্লাহ।

এছাড়া আরো কিছু কারণ বা বৈশিষ্টের বিবেচনায় ইসলাম অর্থনীতির গুরুত্ব ও প্রয়োজণীয়তা অপরীসীম। সে কারণ বা বৈশিষ্ট্যগুলো হলো-

এক. ইসলামী অর্থনীতি কুরআন ও সুন্নাহভিত্তিক।

দুই. ইসলামী অর্থনীতি একটি সার্বজনীন অর্থনৈতিক ব্যবস্থা। সব যুগের সব মানুষের অধিকার পূরণের কথা বলা হয়েছে।

তিন. ইসলামী অর্থনীতির সাম্যবাদী রূপ সব মহলে প্রশংসার দাবিদার। এতে ধনী-গরিব, আশরাফ-আতরাফ, আরব-অনারব, শাসক-শাসিত ইত্যাদি শ্রেণীর মানুষের হক, অধিকার ও দায়িত্বের কথা বলা হয়েছে।

চার. মানবকল্যাণ। সর্বাধিক মুনাফা অর্জন নয় অথবা সম্পদ কুক্ষিগত করা নয়­ মানবকল্যাণ নিশ্চিত করা ইসলামী অর্থনীতির অন্যতম বৈশিষ্ট্য।

পাঁচ. ইসলামী অর্থনীতিতে সম্পদ আমানত।

সংগৃহীত।

এ সম্পর্কিত আরও পোস্ট

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

Back to top button