
পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ ও আদর্শ বিদ্যাপীঠ মাদরাসাতুল উম
স্কুল, কলেজ, ইউনিভার্সিটি, জামেয়া, মাদরাসা, মারকায, আপনি যেখানের কথাই বলুন না কেন, এগুলো আপনাকে কিছু আক্ষরিক জ্ঞানে শিক্ষিত করে তুললেও প্রকৃত মানুষ হওয়ার শিক্ষাটা মূলত আপনাকে মাদারাসাতুল উম তথা মায়ের মাদারাসা থেকেই নিতে হবে। এখান থেকেই শিখতে হবে আপনাকে- আদর্শ, ন্যায়, ইনাসাফ, সভ্যতা, সংস্কৃতি, মানবিকতা, মানবতা, উদারতা, শিষ্টাচার, ভদ্রতা, সততা ও সত্যের পাঠ। গোটা জগতময় এজন্য এর চেয়ে আর কোন আদর্শ বিদ্যাপীঠ আপনি পাবেন না। তাই তো আজকের বিশ্বে আমরা বহু বড় বড় ডিগ্রী ধারী দেখি ঠিকই কিন্তু সত্যিকারের স্বচ্ছ সফেদ নির্মোহ নির্ভেজাল মানুষ দেখি আমরা কদাচিৎ। সত্য সুন্দর নির্মল পরিচ্ছন্ন মানুষ দেখি যতসামান্যই। কারণ একটাই, এরা আক্ষরিক শিক্ষা পেয়েছে ঠিকই কিন্তু প্রকৃত মানুষ হওয়ার শিক্ষাটা পায়নি।
অন্যরা প্রতিষ্ঠানে জাগতিক প্রয়োজনে সর্বোচ্চ সার্টিফিকেটের শিক্ষা দেন। চাকরির সুবাদে স্বার্থের কারণে কিছু বই পড়িয়ে ডিগ্রি দেন। আর মা তাঁর বিদ্যালয়ে বিনা স্বার্থে শিক্ষা দেন সর্বোচ্চ নীতি ও নৈতিকতা। দীক্ষা দেন নীতি ও চারিত্রিক মাধুর্যতা ও উৎকর্ষের সর্বোৎকৃষ্ট আদর্শ। এ জন্য সন্তানের নিকট তিনি কোন বিনিময় বা প্রতিদান চান না।
তাই প্রচলিত শিক্ষা একজন মানুষকে যোগ্যতা ও সম্মানের সর্বশেষ আসনে উন্নীত করতে পারলেও প্রকৃত পক্ষে একজন সৎ সত্য সুন্দর ও আলোকিত আদর্শ মানুষ গঠন করতে অনেক ক্ষেত্রেই অপারগ। পার্থিব ও জাগতিক বিষয়ে সফল হলেও রুহানী বা আধ্যাত্মিক ব্যপারে ব্যর্থ। বিগত সহস্র শতাব্দীর ইতিহাস অন্তত একথাই বলে।
সুতরাং বলতে দিধা নেই যে, পৃথিবীর সর্বোত্তম বিদ্যাপীঠ হলো, ‘মাদরাসাতুল উম’- মায়ের মাদরাসা- বা পারিবারিক শিক্ষাঙন। পাশ্চাত্যের মুসলিম সভ্যতায় যাকে বলে হোম স্কুলিং। অথচ এ প্রতিষ্ঠানটিই আমাদের কাছে আজ সবচেয়ে বেশি অবহেলিত।
লেখক: মুফতি যাকারিয়্যা মাহমূদ মাদানী
প্রিন্সিপাল: মানাহিল মডেল মাদরাসা, মিরপুর, ঢাকা
পরিচালক: ভয়েস অব ইসলাম ও ইসলামিক গাইডেন্স।
jakariyamahmud@gmail.com