কীভাবে স্বামীর খেদমত করবেন?
এক বোন জানতে চেয়েছিলেন, আমি কীভাবে আমার স্বামীর খেদমত করতে পারি? তাকে সন্তুষ্ট রেখে জান্নাতে যেতে পারি? এই বোনের জন্য দীর্ঘ কোনো আলোচনা না করে একজন সাহাবীর স্ত্রীর একটি ঘটনা ও রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর একটি সহীহ হাদীস উল্লেখই যথেষ্ট হবে বলে মনে করি।
আসমা বিনতে আবু বকর রা. থেকে সহীহ মুসলিমে বর্ণিত, তিনি বলেন, যুবায়ের আমাকে যখন বিয়ে করে, দুনিয়াতে তখন তার ব্যবহারের ঘোড়া ব্যতীত ধন-সম্পদ বলতে আর কিছুই ছিল না। তিনি বলেন, আমি তার ঘোড়ার ঘাস সংগ্রহ করতাম, ঘোড়া মাঠে চরাতাম, পানি পান করানোর জন্য খেজুর আঁটি পিষতাম, পানি পান করাতাম, পানির বালতিতে দানা ভিজাতাম। তার সব কাজ আমি নিজেই আঞ্জাম দিতাম। আমি ভালো করে রুটি বানাতে জানতাম না, আনসারদের কিছু মেয়েরা আমাকে এ জন্য সাহায্য করত। তারা আমার প্রকৃত বান্ধবী ছিল। সে বলল, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর দান করা যুবায়েরের জমি থেকে মাথায় করে শস্য আনতাম, যা প্রায় এক মাইল দূরত্বে ছিল।” (সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২১৮২)
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যদি নারীরা পুরুষের অধিকার সম্পর্কে জানত, দুপুর কিংবা রাতের খাবারের সময় হলে, তাদের খাবার না দেয়া পর্যন্ত বিশ্রাম নিত না।” (তাবরানি, সহীহ আল-জামে, হাদীস নং ৫২৫৯)
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জনৈক মহিলাকে জিজ্ঞাসা করেন, “তোমার কি স্বামী আছে? সে বলল হ্যাঁ, রাসূল বললেন, তুমি তার কাছে কেমন? সে বলল, আমি তার সন্তুষ্টি অর্জনে কোনো ত্রুটি করি না, তবে আমার সাধ্যের বাইরে হলে ভিন্ন কথা। রাসূল বললেন, লক্ষ্য রেখ, সে-ই তোমার জান্নাত বা জাহান্নাম।” (মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং ৩৪১)