সালাফে সালেহীনের জামা‘আতের সালাতে গুরুত্বের নমুনা

১। সা‘ঈদ ইবন মুসাইয়্যিব রহ. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, “চল্লিশ বছর পর্যন্ত আমার সালাতের জামা‘আত ছুটে নি।”

২। আবু হাইয়্যান তার পিতা থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, রাবী‘ঈ ইবন খুসাইমকে পক্ষাঘাত (রোগ) অবস্থায় সালাতের জন্য (মসজিদে) নিয়ে আসা হত, তাকে বলা হয়েছিল যে, আপনার জন্য বাড়ীতে সালাত আদায়ের অনুমতি রয়েছে। তিনি বলেন আমি তো “হাইয়্যা ‘আলাস সালাহ” শুনতে পাই, তোমাদের যদি সালাতে পৌঁছার সমর্থ থাকে, তবে হামাগুড়ি দিয়ে হলেও সালাতে উপস্থিত হও।”

৩। ইবরাহীম আত-তাইমী রহ. বলেন, “যদি কোনো ব্যক্তিকে সালাতের তাকবীরে উলায় (প্রথম) অংশ গ্রহণে অলসতা করতে দেখ তবে তার থেকে বিমূখ হয়ে যাও।”

৪। মুস‘আব বলেন, ‘আমের মৃত্যু যন্ত্রনায় কাতর অবস্থায় মুয়াজ্জিনের আজান শুনে বলেন, আমার হাত ধর, (মসজিদে যাওয়ার জন্য) তাকে বলা হলো: আপনি তো অসুস্থ। তিনি বললেন: আমি আল্লাহর দিকে আহ্বানকারীর আহ্বান শুনব আর সে আহ্বানে সাড়া দিব না? লোকেরা তার হাত ধরে মসজিদে নিয়ে গেল। তিনি মাগরিব সালাতে ইমামের সাথে যোগ দিলেন এবং এক রাকাত সালাত আদায় করার পর মারা যান, আল্লাহ তার প্রতি রহম করুন। (এই ব্যক্তি হলেন আমের ইবন আব্দুল্লাহ্ ইবন যুবাইর ইবনুল ‘আওয়াম)

৫। ওয়াকী‘ ইবন জাররাহ বলেন, “আ‘মাশের বয়স যখন প্রায় সত্তর বছর হয়েছিল তবুও তার (সালাতে) তাকবীরে উলা ছুটে নি।”

৬। মুহাম্মাদ ইবন মুবারক বলেন, “সা‘ঈদ ইবন আব্দুল আযীযের সালাতের জামা‘আত ছুটে গেলে তিনি কাঁদতেন।”

৭। গাস্সান বলেন, আমার নিকট আমার ভ্রাতুস্পুত্র বিশর বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, আমি আমার চাচা বিশর ইবন মানসুর বাসরীকে তাকবীরে উলা ছুটেছে দেখি নি।”

এ সম্পর্কিত আরও পোস্ট

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

আরও দেখুন
Close
Back to top button