আক্বীদাগত বিচ্যুতির কারণ

১। সঠিক আক্বীদা সম্পর্কে অজ্ঞানতা, সেটা ঘটে এর শিক্ষা ও শিক্ষণ হতে মুখ ফিরিয়ে নেয়ার কারণে, অথবা এর প্রতি খুব অল্প গুরুত্ব ও মনোযোগ দেয়ার কারণে। কেননা মানুষ আক্বীদার জ্ঞানহীনতা কিংবা এর বিপরীত ও পরিপন্থী বিষয়ের উপর লালিত-পালিত হয়।

২। পূর্বপুরুষগণ যার উপর ছিল এবং যার প্রতি তারা অটল ছিলো, তার পক্ষপাতিত্ব যদিও তা বাতিল হয়, অনুরূপ তাদের মতপথের বিরোধী বিষয়সমূহ পরিহার করা যদিও তা সত্য হয়।

৩। প্রমাণ না জেনেই বা সত্যতা যাচাই না করেই আক্বীদার বিষয়ে মানুষের বিবৃতির অন্ধানুসরণ।

৪। আওলিয়া ও সত্যনিষ্ঠ ব্যক্তিদের বিষয়ে অতিরঞ্জন করা এবং তাদের যে স্তর তার থেকে বেশি তাদের প্রশংসা করা, তৎসহ তাদের সম্পর্কে এই বিশ্বাস রাখা যে, তারা কল্যাণ সাধন করতে পারে এবং অনিষ্ট দূরীভুত করতে পারে; যার ক্ষমতা কেবল আল্লাহ্‌র রয়েছে।

৫। সার্বজনীন নিদর্শনাবলি ও আল্লাহ্‌র কুর্‌আনের আয়াতসমূহের প্রতি চিন্তাভাবনার অভাব। এবং বস্তুবাদ সভ্যতা যা প্রদত্ত হয়েছে, তাতেই হতভম্ব হয়ে পড়া এবং ভাবা যে, এই সমস্ত জিনিস শুধু মানবজাতির যোগ্যতাবলে এসেছে।

৬। ঘর সঠিক পথনির্দেশিকা হতে প্রায় শূন্য। রাসূলুল্লাহ্‌ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম বলেছেন:

(كُلُّ مَوْلُودٍ يُولَدُ عَلَى الفِطْرَةِ، فَأَبَوَاهُ يُهَوِّدَانِهِ، أَوْ يُنَصِّرَانِهِ، أَوْ يُمَجِّسَانِهِ، كَمَثَلِ البَهِيمَةِ تُنْتَجُ البَهِيمَةَ هَلْ تَرَى فِيهَا جَدْعَاءَ)

প্রত্যেক নবজাত শিশুই তার স্বভাবধর্মের (ইসলাম) উপর জন্মলাভ করে, অতঃপর তার পিতা-মাতা তাকে ইহুদি বা খ্রীষ্টান বা অগ্নিপূজক বানিয়ে দেয়”। (সহীহ বুখারী-১৩৮৫)

সুতরাং সন্তানসন্ততির পথনির্দেশনায় পিতামাতার বিশাল ভূমিকা থাকে।

৭। ইসলামী বিশ্বে জ্ঞান প্রসার এবং শিক্ষামাধ্যমের প্রতি গুরুত্বের অভাব। তাই শিক্ষাপ্রণালী দ্বীন কিংবা এর ভিত্তিসমূহের প্রতি বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করে না। তাই তারা ওই সমস্ত জিনিসের প্রতি গুরুত্ব দেয় না, যা চরিত্র ও উত্তম আচরণ গঠন করে; যা খাঁটি আক্বীদা গঠন করে, যে আক্বীদা পথভ্রষ্টতার ধারা রোধ করতে পারে। এভাবে একজন মানুষ বৈধর্ম্যের সামনে অসহায় ও নিরস্ত্র হয়ে পড়ে এবং কোনো প্রতিরোধ করতে পারে না।

এ সম্পর্কিত আরও পোস্ট

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

Back to top button