কাতারের সঙ্গে কেন এই বিচ্ছেদ?

এক: মধ্যপ্রাচ্যের সমৃদ্ধশালী ও উন্নত দেশ কাতার ও তার একসময়কার মিত্রদেশগুলোর বর্তমান সঙ্কট বিশ্বপরিস্থিতিকে চরম উত্তপ্ত ও ঘোলাটে করে দিয়েছে। সবার দৃষ্টিই এখন আরব উপসাগরের দেশগুলোর প্রতি। প্রকৃত ঘটনা কি? কি হতে চলেছে আসলে, সেদিকে সবাই সতর্ক দৃষ্টি রাখছেন। গত দু দিন যাবত সোশ্যাল নেটওয়ার্ক গুলো এনিয়ে সরব। ফেসবুক টুইটারে চলছে ব্যাপক লেখালেখি ও তোলপাড়। আলোচনা সমালোচনাও চলছে সমান তালে। আরো কিছু দিন হয়তো এভাবেই চলবে। কৌতুহল নিয়ে কয়েকজনকে জানতে চেয়ে প্রশ্ন করেছিলাম যে, কেন সৌদি আরবসহ আরো পাঁচটি দেশ কাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করেছে? অধিকাংশরাই ভাসা ভাসা উত্তর দিয়েছেন। কেউ কেউ বলেছেন জানিনা কেন এমনটি ঘটেছে। তাই বক্ষ্যমাণ এই নিবন্ধে সময়ের সবচেয়ে বেশি আলোচিত সমালোচিত কাতার সঙ্কট ও আরব বিশ্বের বর্তমান পরিস্থিতির মূলে কি আছে, কেন এই বিভাজন একটু খতিয়ে দেখার চেষ্টা করবো।

দুই: সম্পর্ক ছিন্নকারী দেশগুলোর কাতারের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় অভিযোগ হচ্ছে, কাতার হামাস, মুসলিম ব্রাদারহুড, আল কায়দাসহ দায়েশ, শিয়া মিলিশিয়া ও ইয়েমেনের সন্ত্রাসী হুছি ছাড়াও অন্যান্য জঙ্গি সংগঠনগুলোকে নিয়মিত সমর্থন, আশ্রয়-পশ্রয় ও আর্থিক সহযোগিতা দিয়ে থাকে এবং মধ্যপ্রাচ্যে কাতার উত্তেজনা সৃষ্টি করছে।
মূলত সন্ত্রাসবাদের এই কথিত অভিযোগেই দেশটির সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করেছে সৌদি আরব, মিশর, বাহরাইন এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত। পরে ইয়েমেন ও মালদ্বীপ। আর সবশেষে এই কাতারে নাম লিখিয়েছে মুরিতানিয়া এবং আফ্রিকার আরো কয়েকটি দেশ।

কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্নকারী দেশগুলোর এই অভিযোগের প্রতিক্রিয়ায় কাতার বলছে, এসব অভিযোগের কোন ভিত্তি নেই, তাদের এই সিদ্ধান্ত অন্যায্য ও অন্যায়। তারা এটি করতে পারেন না।
ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে অনেককে একথা বলতেও শোনা যাচ্ছে যে, সৌদি আরবের নেতৃতেই কাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করা হয়েছে। সৌদির পরোক্ষ ইন্ধনেই সম্পর্ক ছিন্নের এই সঙ্কট তৈরি হয়েছে। এজন্য এর গোটা দায় সৌদির। এখানে শেষোক্ত যে অভিযোগ সেটির ব্যাপারে আমি জানিনা। এবং এব্যাপারে যথেষ্ট গ্রহণযোগ্য কোন প্রমাণ এখনও পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। তবে সৌদির নেতৃত্বে যে সম্পর্ক ছিন্ন করার প্রক্রিয়া প্রথমে শুরু হয়নি এটি নিয়ে সন্দেহের কোন অবকাশ থাকার কথা নয়। কেননা সম্পর্ক ছিন্ন করার প্রক্রিয়া প্রথমে শুরু করে বাহরাইন। পরে সৌদি আরব, মিসর ও সংযুক্ত আরব আমিরাত ভিন্ন ভিন্নভাবে সম্পর্কচ্ছেদের উদ্যোগ নেয়।
তবে এ ঘটনার পিছনে যে পবিত্র আরবের অপবিত্র নর্দমা, পশ্চিমা-ইসরাঈল বান্ধব বিশ্বের পতিতা রাষ্ট্র আরব আমিরাত জড়িত এটি বোধহয় এখন কিছুটা নিশ্চিত করেই বলা যায়। কেননা গত সপ্তাহ দু এক পূর্বে ২৫শে মে, আরব ইসলামিক আমেরিকান সামিটে কাতারের আমীর শায়খ তামীম বিন হামাদ আল সানী আরব আমিরাতকে মুনাফিক হিসাবে সাব্যস্ত করে কড়া ভাষায় তার প্রতিবাদ করেন। তাৎক্ষনিকভাবে আমিরাত কোন প্রতিবাদে না গেলেও কাতারের এই আচরণে চরমভাবে ক্ষুব্ধ হয় দেশটি। যার ফলশ্রুতিতে প্রতিশোধ পরায়ণে কাতর হয়ে কাতারের সাথে ইরানের গোপন সম্পর্ক রয়েছে এমন মিথ্যা তথ্য দিয়ে সৌদি আরবকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করে।

তিন: আরেকটি বিষয় বলতেই হয়, কাতার সংকটের কারণে অনেককেই দেখা যাচ্ছে সৌদি আরবকে প্রায় তুলাধুনো করে ছাড়ছেন। চৌদ্দগুষ্ঠি উদ্ধার করে চলেছেন। ইহুদি খৃস্টান ও আমেরিকার দালাল বলে লাফালাফি করছেন। এগুলো আমার কাছে মনে হয় অন্তঃসারশূন্য প্রলাপ। আন্তর্জাতিক রাজনীতির মারপ্যাঁচ ও এর জটিল মেরুকরণ এবং ক্ষমতার রাজনীতিতে টিকে থাকার যে অদম্য লড়াই, বিশেষ করে বিশ্ব ইসলামী রাজনীতির যে চালেঞ্জিং পরিস্থিতি এ সম্পর্কে যারা ওয়াকিফহাল ও সচেতন তারা মনে করেন, এসব কথা রাজনৈতিক শিশুসুলভ বচন। আসলে তারা কী চান নিজেরাই হয়তো ভালো করে তা জানেন না। তারা কি এটিই চান যে, আলে সৌদ আজই ক্ষমতা ছেড়ে দিক এবং তদস্থলে বিশ্ব সন্ত্রাসী আমেরিকা বা আইএস ও হিযবুল্লাহর মতো ইহুদী ও শিয়া মদদপুষ্ট সংগঠনগুলো সৌদী আরবের রাজক্ষমতা কুক্ষিগত করে নিক? কি জানি হয়তো তাই! তা না হলে তাদের কেন এতো গাত্রদাহ?

তারা যদি এগুলো করার আগে কাতার সম্পর্কেও একটু খোজ খবর নিতেন তাহলে হয়তো একচেটিয়াভাবে কাতারের পক্ষালম্বন করতেন না। ভালো মন্দ বিবেচনাহীন একতরফা পক্ষালম্বন সুস্থ চিন্তা চেতনা ও পরিণত ব্যক্তিত্বের স্বাক্ষর বহন করেনা। ২০২২ সালে বিশ্বকাপ ফুটবলের আয়োজক দেশ কাতার। এর বাইরে কাতার সম্পর্কে আসলে আমরা কতটা জানি? মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে বড় মার্কিন বিমানঘাঁটি কাতারে অবস্হিত। এখান থেকেই ইরাক, সিরিয়া, লিবিয়া, আফগানিস্তানে তথাকথিত জঙ্গি বিরোধী সমস্ত অভিযান পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রন করে আমেরিকা। এ সমস্ত দেশে যে প্রতিদিন হাজার হাজার মুসলিম নারী-পুরুষ ও নিরীহ শিশুরা মারা যাচ্ছে। প্রতিনিয়ত এসব দেশ বোমায় প্রকম্পিত হচ্ছে, শত্রুর আঘাতে ক্ষতবিক্ষত হচ্ছে মুসলমানরা। তারা কি একটু বলবেন যে, এই হত্যাকান্ডের জন্যও কি সৌদীই দায়ী?
মুসলিম উম্মাহর বৃহৎস্বার্থে কাতারের বর্তমান এই সংকট ও দুর্দিনে তার পাশে দাড়ানো সাভাবিক। এটি মুসলিম ভ্রাতৃত্বেরও দাবী। কিন্তু যদি মনে করা হয় যে, কাতারেরে সঙে ইহুদী খৃস্টানদের কোন কানেকশনই নেই তাহলে ভুল হবে। বরং পশ্চমাদের সাথে কাতারের যে পরিমাণ ভাব ও সম্পর্ক মধ্যপ্রাচ্যের অন্য যেকোন দেশের তুলনায় তা ঢের বেশী।
গত এক দশকে বৃটেনে কাতার প্রায় ৪৫ থেকে ৫১ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে। কাতারের অর্থমন্ত্রী কয়েক মাস আগে বিবিসিকে এ তথ্য জানিয়েছেন। মন্ত্রী এ কথাও জানিয়েছেন যে, আগামী পাচঁ বছরে আরো পাচঁ বিলিয়ন পাউন্ড বিনিয়োগেরর পরিকল্পনা কাতারের রয়েছে।

দোহা আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে বিশালাকৃতির ভাল্লুকের একটি ভাস্কর্য রয়েছে। ২০১১ সালে নিউইয়র্কে এক নিলাম থেকে প্রায় ৭ মিলিয়ন ডলার খরচ করে কাতার এটি ক্রয় করে। এখন কথা হল, কাতারের সঙে ইসলামের সম্পর্কটা তাহলে কেমন? খুব গভীর কি? বা তারা ইসলাম ও মুসলামনদের কতটুকু প্রতিনিধিত্ব করছেন? হ্যাঁ এটি হয়তো ঠিক যে, সৌদী আরবের ফরেন পলিসির অনেক কিছুই অস্পষ্ট। এ অভিযোগও রয়েছে যে, সৌদীর এ সমস্ত নীতির কারণে বিশ্বমুসলিম উম্মাহ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আমি নিজেও ব্যক্তিগতভাবে সৌদী আরবের এধরণের পররাষ্ট্রনীতি নীতির কঠোর সমালোচক। আমি অন্যায়ভাবে যেমন সৌদী স্তুতি গাইনা, তেমনি অবিবেচকের ন্যায় সবকিছুতে দোষও খুজে বেড়াইনা। আমি যা কিছু সত্য, সুন্দর যৌক্তিক তার পক্ষে, বিশ্বের সকল অসৎ অসত্য অন্যায়, অনাচার অবিচারেরে বিরুদ্ধে, বিপক্ষে। তাই বলবো, কেউ যদি আমাকে আমার বক্তব্যের বিপরীত বুঝে থাকেন তিনি নিতান্তই ভুল করবেন। আমি ব্যক্তিগতভাবে জীবনে কখনোই কাতারের কোন ধরণের সমালোচনা করিনি বরং প্রশংসা করেছি, আজও করছি। কাতারের অনেক অবদান রয়েছে। তাদের উল্লেখ করার মতো যথেষ্ট ভালো ভালো কাজ রয়েছে। এখানে প্রাসঙ্গিকক্রমে শুধুমাত্র উপমার জন্যই কাতারকে টেনে এনেছি। হেয় প্রতিপন্ন বা বিষেদাগারের জন্য নয়। সৌদি আমার ডান চোখ, কাতার আমার বাম চোখ। দুটিই আমার অঙ্গ।

চার: কেন হঠাৎ এই বিচ্ছেদ?
এখানে বলে রাখা ভালো যে, সম্পর্কচ্ছেদের ঘোষণা হঠাৎ এলেও, প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে কাতারের সম্পর্কের টানাপড়েনের শুরু হয় কিন্তু কয়েক বছর আগেই, যা সাম্প্রতিক সময়গুলোতে এসে বৃদ্ধি পেয়েছে। নিম্মোক্ত আলোচনায় আশা করি বিষয়টি ক্লিয়ার হয়ে যাবে।

সৌদি আরবের উত্থাপিত অভিযোগ গুলোর মধ্যে কয়েকটি হল:

– দোহা বহুদিন যাবত সৌদি আরবের আভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে আসছে এবং সৌদির জনগণকে দেশের বিরুদ্ধে উস্কে দিচ্ছে।
– সৌদি আরবের বিরুদ্ধে কাতারের বিভিন্ন মিডিয়ায় সবসময় অপপ্রচার।
– সৌদি আরবের আল কাতিফ অঞ্চলে শিয়া বিদ্রোহীদের গোপনে সবধরনের পৃষ্ঠপোষকতা প্রদান।
– বাহরাইনের শিয়া জঙ্গিদের অব্যাহত মদদ ও সাহায্য সহযোগিতা করা।
– সৌদি আরবের শান্তি ও স্থিতিশীলতা বিনষ্টে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক চক্রান্তকারীদের সহায়তা প্রদান।
– আরব জোটে থাকার ঘোষণা দেয়ার পরও দোহা কর্তৃক ইয়েমেনের বিদ্রোহী হুছি মিলিশিয়াদের আর্থিক সহায়তা ও অন্যান্য সাহায্য সহযোগিতা প্রদান।
অন্যান্য দেশগুলোরও প্রায় একই ও অভিন্ন অভিযোগ। তবে সবচেয়ে বড় যে বিষয়টি এই সিদ্ধান্তের পিছনে কাজ করেছে সেটি হল, জঙ্গি সংগঠনগুলোর সঙ্গে কাতারের সংযোগ এবং আঞ্চলিক রাজনীতিতে সৌদি আরবের প্রতিপক্ষ ইরানের ভূমিকা।

এখানে এটিও উল্লেখ করা যেতে পারে যে, সন্ত্রাস নিধনে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন জোটে কাতার যোগ দিয়েছে ঠিকই। তবে কাতারের বিরুদ্ধে এই অভিযোগও ছিল যে, তারা আইএসকে আর্থিক সহায়তা দিয়ে আসছে। বিশেষ করে ইরাকের শিয়া নেতারা এব্যাপারে অভিযোগ করে আসছিলেন বেশি। আর এ কারণেও সৌদি ও আমেরিকা পূর্ব থেকেই দোহার প্রতি কিছুটা অসন্তুষ্ট। সবশেষে এর সাথে এর সাথে যোগ হয়েছে নোংরা আমিরাতের নষ্ট চক্রান্ত। যদিও এসকল অভিযোগ কাতার বরাবরই অস্বীকার করে আসছে। তবে কাতারকে এখানে এবিষয়টিও বুঝতে হবে, শুধু অভিযোগ অস্বীকার করলেই হবেনা, বরং প্রতিপক্ষরা যেসব অভিযোগ করে আসছে সেগুলোর শক্ত ও টেকসই জবাবও তাকে দিতে হবে। যাতে প্রকৃত সত্য কোনটি বিশ্ববাসী তা জানতে পারে। সুতরাং কাতারকে চুপ করে না থেকে সময়োচিত ও স্ট্রং পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। কাতারকে এটা প্রমাণ করতে হবে যে সে অন্যায় কিছু করেনি। সেই সাথে সম্পর্কচ্ছেদের কারণে যাতে কাতারের জনজীবনে বড় ধরণের কোন প্রভাব না পড়ে সেজন্যও অন্যান্য বন্ধু ও হিতৈষী রাষ্ট্রসমূহের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক আরো জোরদার করতে হবে।

পাঁচ: তবে এতো কিছুর মাঝেও আশার বাণী হল যে, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তইয়িব এরদোগান কাতার সঙ্কট নিরসনে গতকাল ৬ রাষ্ট্রনেতার সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন। আশা করা যাচ্ছে খুব শিগগিরই হয়তো আরবের উদ্ভূত এ পরিস্থিতি শান্ত হয়ে আসবে। তিনি উপসাগরীয় অঞ্চলে স্থিতিশীল শান্তি প্রতিষ্ঠার নিমিত্তে ওআইসির প্রেসিডেন্ট ও তুরস্কের প্রচেষ্টার অংশ হিসাবে এ আলোচনা শুরু করেন। এরদোগান এ কথাও বলেছেন যে, আরব বিশ্বের এই সঙ্কট মোকাবেলায় আঙ্কারা সব ধরণের সহায়তা প্রদানের জন্য প্রস্তুত রয়েছে। এ ছাড়াও তিনি শান্তিপূর্ণ কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে সঙ্কট নিরসনে এগিয়ে আসার জন্যও আরব নেতাদের প্রতি আহবান জানান।
এছাড়াও নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র জানিয়েছে যে, কাতারের এই সঙ্কট নিরসনে দ্বিপাক্ষিক আলোচনার জন্য কুয়েতের আমীর বর্তমানে সৌদি আরব সফর করছেন।

ছয়: সবকিছু মিলিয়ে আশার মিটিমিটি আলোই দেখতে পাচ্ছি। আপাতত খুব একটা চিন্তা করছিনা। কাতারিরা আমাদের ভাই, সৌদিয়ান ও অন্যান্য আরবরাও আমাদের ভাই। আমারা ভাইয়ে ভাইয়ে আর কোন দন্ধ চাইনা। মিলেমিশে থাকতে চাই। আমরা নিজেদের মধ্যে কোন অনৈক্য, দূরত্ব ও বিভাজন চাইনা। আমরা চাই স্থিতিশীল সুখ শান্তি ও সমৃদ্ধির পথে সকলেই এগিয়ে যাক। বন্ধন আরো অটুট হোক। ভালোবাসা আরো টেকসই হোক। সৌহার্দতা আরো দৃঢ় হোক। হৃদ্যতা আরো গভীর হোক। মাহে রামাদানের এই পবিত্র দিনে মহান রব্বে কারীমের দরবারে এই ই প্রার্থনা।

লেখক: যাকারিয়্যা মাহমূদ
এমফিল গবেষক, আইন ও বিচার ব্যবস্থা এবং ইসলামী রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ,
মদিনা বিশ্ববিদ্যালয়, সৌদি আরব।
১২ই রমাদান, ১৪৩৮ হি:
৭ই জুন, ২০১৭ ইং।

এ সম্পর্কিত আরও পোস্ট

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

Back to top button