হাতে সর্বদা লাঠি ব্যবহার: ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি

এমন কোনো বিশুদ্ধ হাদিস খুঁজে পাওয়া যায় না যা নির্দেশ করে যে, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সর্বদা লাঠি ব্যবহার করতেন। আর না এটি এমন কোনো বিষয় যা গোপন করা যায়। যদি সর্বদা লাঠি ব্যবহার রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে প্রমাণিত হতো, তাহলে সাহাবায়ে কেরাম (রা.) নিজেরা এর উপর আমল করতেন ও তা উম্মতের জন্য বর্ণনা করতেন। কেননা তারা দীন ও সুন্নাহর পরিপালন ও প্রচার-প্রসারে সবচেয়ে বেশি আগ্রহী ও আগ্রগামী ছিলেন। তবে এ ব্যাপারে কিছু দুর্বল ও জাল হাদিস রয়েছে। এখানে কয়েকটি উল্লেখ করা হলো,

এক: حمل العصا علامة المؤمن، وسنة الأنبياء
‘লাঠি বহন করা মুমিনের আলামত এবং নবীগণের সুন্নাত’।

তাহকীক: হাদীসটি জাল। দাইলামী “মুসনাদুল ফিরদাউস” (২/৯৭) গ্রন্থে ইয়াহইয়া ইবনু হাশিম আল-গাসসানী সূত্রে কাতাদা হতে, তিনি আনাস (রা.) হতে মারফু’ হিসাবে বর্ণনা করেছেন। শায়খ আলবানী বলেন, আমি বলছি: এটি বানোয়াট। যদিও সুয়ূতী তার “আল-ফাতাওয়া” (২/২০১) গ্রন্থে উল্লেখ করে চুপ থেকেছেন। তিনি “আল-জামেউল সাগীর” গ্রন্থেও উল্লেখ করেছেন! এ জন্য তার ভাষ্যকার মানবী তার সমালোচনা করে বলেছেন: এই গাসসানী সম্পর্কে ইমাম যাহাবী “আয-যোয়াফা” গ্রন্থে বলেন: তিনি হাদীছ জাল করতেন। (সিলসিলাহ দঈফাহ, হাদিস: ৫৩৫)

দুই: كان للأنبياء كلهم مخصرة يتخصرون بها تواضعا لله عز وجل
‘প্রত্যেক নবীরই লাঠি ছিল তার উপর ভর করে চলতেন আল্লাহ রব্বুল আলামীনের জন্য নম্রতা প্রকাশের লক্ষ্যে’।

তাহকীক: হাদীসটি জাল। এটিকে দাইলামী ওয়াহীমা ইবনু মূসা সূত্রে সালামা ইবনুল ফযল হতে … ইবনু আব্বাস (রা.) হতে মারফু’ হিসাবে বর্ণনা করেছেন। সুয়ূতী “আল-ফাতাওয়া” গ্রন্থে (২/২০১) উল্লেখ করে চুপ থেকেছেন। এই ওয়াহীমা সম্পর্কে ইবনু আবী হাতিম “আল-জারহু” (৩/২/৫) গ্রন্থে বলেনঃ তিনি সালামা হতে জাল হাদীছ বর্ণনা করেছেন। (সিলসিলাহ দঈফাহ, হাদিস: ৫৩৬)

তিন: التوكؤ على العصا من أخلاق الأنبياء، كان لرسول الله صلى الله عليه وسلم عصا يتوكأ عليها، ويأمرنا بالتوكأ عليها
‘লাঠির উপর ভর করা নবীগণের চরিত্রগত অভ্যাস। রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর একটি লাঠি ছিল তিনি তার উপর ভর দিতেন এবং আমাদেরকে তার উপর ভর দিতে নির্দেশ দিতেন’।

তাহকীক: হাদীসটি জাল। এটি আবুশ শাইখ “আখলাকুন্নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)” (পৃঃ ২৫৯) গ্রন্থে এবং ইবনু আদী “আল-কামিল” (কাফ ১/৩৩০) গ্রন্থে উছমান ইবনু আবদির রহমান হতে তিনি আল-মুয়াল্লা ইবনু হিলাল হতে তিনি লাইছ হতে… বর্ণনা করেছেন। ইবনু আদী এই আল-মুয়াল্লার জীবনী আলোচনা করতে গিয়ে বলেন: তিনি হাদীছ জলকারীদের অন্তর্ভুক্ত। (সিলসিলাহ দঈফাহ, হাদিস: ৯১৬)
আর উছমান ইবনু আবদির রহমান হচ্ছেন হাররানী আত-তারায়েফী। তিনি সত্যবাদী। তবে তার অধিকাংশ বর্ণনায় দুর্বল ও মাজহুল বর্ণনাকারীদের থেকে বর্ণিত। সে কারণেই তিনি দুর্বল। এমনকি ইবনু নুমায়ের তাকে মিথ্যার দোষে দোষী করেছেন। আর ইবনু মাঈন তাকে নির্ভরযোগ্য বলেছেন, যেমনটি “আত-তাকরীব” গ্রন্থে এসেছে।

চার: إن أتخذ منبرا، فقد اتخذه أبي إبراهيم، وإن أتخذ العصا فقد اتخذها أبي إبراهيم
‘আমি যদি মিম্বার গ্রহণ করি, তাহলে আমার পিতা ইবরাহীম তো মিম্বার গ্রহণ করেছেন। আর আমি যদি লাঠি ধারণ করি তাহলে আমার পিতা ইবরাহীম লাঠি ধারণ করেছেন’।

তাহকীক: হাদীসটি মুনকার। হাদীসটিকে আবু সাঈদ আব্দুল্লাহ ইবনু সাঈদ আশুজ্জ তার “জুযউ মিন হাদীস” গ্রন্থে (১/২১৩), হায়সাম ইবনু কুলাইব তার “মুসনাদ’ গ্রন্থে (২/১৬৬), ইবনু আসাকির (২/১৭৩/১), অনুরূপভাবে আবু নুয়াইম “আখবারু আসবাহান” গ্রন্থে (২/১৭৫), বাযযার (৬৩৩) ও ত্ববারানী (২০/১৬৭/৩৫৪) (তারা সকলে) মূসা ইবনু মুহাম্মাদ ইবনু ইবরাহীম হতে, তিনি তার পিতা হতে, তিনি সালূলী হতে, তিনি মুয়ায (রাঃ) হতে মারফু হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

বাযযার বলেন: একমাত্র এ সনদেই আমরা হাদীসটিকে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে জানি।

শায়খ আলবানী বলেন, সনদটি খুবই দুর্বল। বর্ণনাকারী মূসা মুনকারুল হাদিস, যেমনটি হাফিয ইবনু হাজার অন্য ইমামদের অনুসরণ করে বলেছেন। আর দারাকুতনী বলেন: তিনি মাতরূক। ইবনু আবী হাতিম “আলইলাল” গ্রন্থে (২/২৪১) তার কতিপয় হাদীস উল্লেখ করেছেন, এটি সেগুলোর একটি। অতঃপর তিনি তার পিতার উদ্ধৃতিতে বলেছেনঃ এ হাদীসগুলো মুনকার, যেন বানোয়াট, আর মূসা হাদীসের ক্ষেত্রে খুবই দুর্বল।

হাইসামী “আলমাজমা” গ্রন্থে (২/১৮১) হাদীসটি উল্লেখ করে বলেছেন: এটিকে বাযযার, ত্ববারানী “আলকাবীর” গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন। এর সনদে মূসা ইবনু ইবরাহীম ইবনুল হারেস তাইমী রয়েছেন, তিনি খুবই দুর্বল। লাঠি ধারণ করা মর্মে পূর্বে একটি হাদীস আলোচিত হয়েছে কিন্তু সেটি বানোয়াট। সেটি সম্পর্কে (৫৩৫) আলোচনা করা হয়েছে। (সিলসিলাহ দঈফাহ, হাদিস: ১৬৮০)

এই অভিমত যারা ব্যক্ত করেছেন তাদের কথা হল, লাঠির উপর ভর দিয়ে খুতবা দেয়া রাসূলুল্লাহ থেকে বহু হাদিসে প্রমাণিত। তন্মধ্যে একটি হল হাকাম ইবনে হাযামের হাদিসে যে, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জুমার দিন (লাঠি অথবা ধনুকের উপর ভর দিয়ে খুতবা দিয়েছেন, অতঃপর তিনি আল্লাহর প্রশংসা ও গুণকীর্তন করেছেন…) (আবু দাউদ: ১০৯৬, ইমাম নববি আল মাজমু গ্রন্থে হাদিসটি হাসান বলেছেন, (৪/৫২৬), সহীহু আবি দাউদ গ্রন্থে আলবানি হাদিসটিকে হাসান বলে আখ্যায়িত করেছেন। অবশ্য শরিয়তবিদদের কেউ কেউ হাদিসটি যয়িফ বলেছেন। ইবনে কাসীর (রহ.) ইরশাদুল ফকিহ গ্রন্থে (১/১৯৬) বলেন,’এই হাদিসের সনদটি শক্তিশালী নয়।‘

তবে রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জুমার খুতবার সময় লাঠি বহন করেছেন মর্মে কিছু হাদিস রয়েছে। এগুলোর ব্যাপারে ওলামাদের বিভিন্ন বক্তব্য রয়েছে। তন্মধ্যে প্রসিদ্ধ হাদিসটি হল, হাকাম ইবনে হাযাম থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জুমার দিন (লাঠি অথবা ধনুকের উপর ভর দিয়ে খুতবা দিয়েছেন, অতঃপর তিনি আল্লাহর প্রশংসা ও গুণকীর্তন করেছেন…) (সুনান আবু দাউদ, হাদিস: ১০৯৬)

তাহকীক: ইমাম নববী আল মাজমু গ্রন্থে হাদিসটিকে হাসান বলেছেন, (৪/৫২৬), সহীহু আবি দাউদ গ্রন্থে শায়খ আলবানী হাদিসটিকে হাসান বলে আখ্যায়িত করেছেন। অবশ্য ওলামাদের কেউ কেউ হাদিসটি জঈফ বলেছেন। ইবনে কাসীর (র.) ইরশাদুল ফকীহ গ্রন্থে (১/১৯৬) বলেন, ‘এই হাদিসের সনদটি শক্তিশালী নয়’।

লাঠি হাতে নিয়ে জুমার খুতবা দেয়া সুন্নত কিনা এ ব্যাপারে ওলামাদের দুটি অভিমত রয়েছে:

প্রথম অভিমত: এরূপ করা মুস্তাহাব, মালিকি, শাফেয়ি ও হাম্বলি মাযহাবের অধিকাংশ উলামা এ মতের পক্ষে গিয়েছেন।

ইমাম মালেক (রহ.) বলেন,’খুতবা দেন এমন ইমামদের জন্য এরূপ করা মুস্তাহাব। অর্থাৎ তারা লাঠিতে ভর করা অবস্থায় খুতবা দেবেন। এরূপই আমরা দেখেছি ও শুনেছি।’ (আল মুদাউওয়ানাতুল কুবরা: ১/১৫১) মালিকি মাযহাবের পরবর্তী যুগের কিতাবপত্রে এ অভিমতকেই নির্ভরযোগ্য বলা হয়েছে। (দেখুন: জাওয়াহেরুল ইকলীল: ১/৯৭ ও হাশিয়াতুদ্দাসুকি: ১/৩৮২)

ইমাম শাফেয়ি (রহ.) বলেন,’যে খুতবা প্রদান করবেন – তা যে প্রকৃতিরই হোক না কেন- তিনি কোনো কিছুর উপর ভর দেবেন, এটাই আমার কাছে পছন্দনীয়।’ (আল উম্ম: ১২৭২) এ বিষয়ে শাফেয়ি মাযহাবের ফতোয়া এটাই। (দ্র: নিহায়াতুল মুহতাজ: ২/৩২৬ ও হাশিয়াতু কালয়ুবি:১/২৭২)

হাম্মলি মাযহাবের ইমাম বাহুতি (রহ.) বলেন,’যে কোনো হাত দিয়ে তরবারি, ধনুক বা লাঠির উপর ভর দিয়ে খুতবা দেয়া সুন্নত।‘ (কাশশাফুল কিনা:২/৩৬, আরো দ্র: আল ইনসাফ: ২/৩৯৭)

দ্বিতয় অভিমত: এরূপ করা মাকরুহ, হানাফি মাযহাবের এটাই ফতোয়া, যদিও এ মাযহাবের কিছু ফকিহ এ মতের বিরুদ্ধে গিয়েছেন।

ফতোয়ায়ে তাতারখানিয়াতে আল মুহিতুল বুরহানি গ্রন্থের রচয়িতার বরাত দিয়ে বলা হয়েছে: খতিব যদি লাঠি অথবা ধনুকের উপর ভর দিয়ে খুতবা দেন, তবে তা জায়েজ, কিন্তু এরূপ করা মাকরুহ; কারণ তা সুন্নতের খেলাফ। (ফতোয়ায়ে তাতারখানিয়া: ২/৬১)

হানাফি মাযহাবের আরেকটি ফতোয়াগ্রন্থ, ফতোয়ায়ে হিন্দিয়াতে এসেছে (১/১৪৮): ধনুক অথবা লাঠির উপর ভর দিয়ে খুতবা দেয়া মাকরুহ, খুলাসা ও আল মুহিত গ্রন্থদ্বয়ে এরূপই এসেছে। আর যেসব দেশ যুদ্ধের মাধ্যমে জয় হয়েছে সেসব দেশে খতিবগণ তরবারি ঝুলিয়ে খুতবা দিবে। তাহাবি গ্রন্থের ব্যাখ্যায় এরূপই রয়েছে।

ইমাম ইবনুল কাইয়িমের কথাও প্রমাণ করে যে মিন্বারে খুতবা দেয়ার সময় লাঠির উপর ভর দেয়া রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সুন্নত নয়। তিনি বলেন:’ তিনি তরবারি বা অন্য কিছু নিয়ে খুতবা দিতেন না। মিন্বার নির্মাণের পূর্বে তিনি ধনুক অথবা লাঠির উপর ভর দিতেন। যুদ্ধের ময়দানে তিনি ধনুকের উপর ভর দিয়ে খুতবা দিতেন, আর মসজিদে লাঠির উপর। তরবারির উপর ভর দিয়ে খুতবা দিয়েছেন বলে কোনো বর্ণনায় নেই। কিছু মূর্খ লোক মনে করে থাকে যে তিনি সর্বদা তরবারির উপর ভর দিয়ে খুতবা দিয়েছেন-যা ইঙ্গিত করে যে এই দীনে-ইসলাম তরবারির দ্বারা কায়েম হয়েছে- চরম মূর্খতার ফলেই তারা এরূপ বলে থাকে। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে এমন কোনো বর্ণনা আসেনি যে তিনি তরবারি, ধনুক অথবা অন্য কিছু নিয়ে মিন্বারে উঠতেন। এমনকী মিন্বার নির্মাণের পূর্বেও যে তিনি তরবারি হাতে নিয়ে খুতবা দিয়েছেন, এ কথা কোনো বর্ণনায় পাওয়া যায় না। মিন্বার নির্মাণের পূর্বে তিনি লাঠি বা ধনুকের উপর ভর দিতেন।‘ (যাদুল মাআদ: ১/৪২৯)

শায়খ ইবনে উসাইমীন (রহ.) বলেন: রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তরবারি, ধনুক অথবা লাঠির উপর ভর দিয়ে খুতবা দিতেন একথা প্রমাণের পক্ষে যে হাদিস উল্লেখ করা হয় তা সন্দেহযুক্ত। যদি ধরেও নিই যে হাদিসটি সহিহ, তবুও ইবনুল কাইয়েম (রহ.) বক্তব্য বিষয়টি পরিষ্কার করে দিচ্ছে। তিনি বলেছেন: মিন্বার নির্মাণের পর রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কোনো কিছুর উপর ভর দিয়েছেন বলে কোনো বর্ণনায় আসেনি।

এর ব্যাখ্যায় বলা যায়: কোনো কিছুর উপর ভর দেয়া প্রয়োজনের সময় হতে পারে। উদাহরণত খতিব যদি এমন দুর্বল হন যে তাকে লাঠিতে ভর দিয়ে দাঁড়াতে হয়, তবে তিনি লাঠিতে ভর দিয়ে দাঁড়াবেন। এবং এসময় তা সুন্নত বলে পরিগণিত হবে। কেননা তা দাঁড়ানোর ব্যাপারে সাহায্য করে। আর খুতবার সময় দাঁড়ানো সুন্নত। পক্ষান্তর যদি প্রয়োজন না থাকে তাহলে লাঠি বহনের আদৌ দরকার নেই। (আশশারহুল মুমতি: ৫/৬২-৬৩)

শায়খ আলবানি (রহ.) ইবনুল কাইয়িম (রহ.) এর কথা সমর্থন করেছেন। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) খুতবা দেয়ার সময় ধনুক অথবা লাঠির উপর ভর দিতেন এ কথা তিনি অস্বীকার করেছেন। (সিলসিলাহ দঈফাহ, হাদিস: ৯৬৪)

সবশেষে, উপরোক্ত আলোচনা দ্বারা এটি স্পষ্ট হলো যে, জুমার খুতবা প্রদানকালে খতীব প্রয়োজনে লাঠি ব্যবহার করতে পারেন। তবে  সর্বদা হাতে লাঠি ব্যবহার করা সুন্নত নয়। কারণ এটি আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে অকাট্যভাবে প্রমাণিত নয়।

আল্লাহ্ তাআলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।

মুফতি যাকারিয়্যা মাহমূদ মাদানী
বি. এ. অনার্স, এম. এ, এমফিল: মদীনা বিশ্ববিদ্যালয়, সৌদি আরব
প্রিন্সিপাল: মানাহিল মডেল মাদরাসা, মিরপুর, ঢাকা
পরিচালক: ভয়েস অব ইসলাম ও ইসলামিক গাইডেন্স।
[email protected]

এ সম্পর্কিত আরও পোস্ট

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

Back to top button