রমযানে বর্জনীয়

রমাদান মাসের ফজিলত হাসিল করার জন্য এমন কিছু কাজ রয়েছে যা থেকে বিরত থাকা দরকার, সেগুলো নিম্নে উপস্থাপন করা হলো :

সর্বপ্রকার গুনাহ বা পাপকর্ম ছেড়ে দেয়া। অনর্থক কাজ-কর্ম ও গল্প- গুজবে সময় নষ্ট না করা। অন্যের গীবত-শেকায়াত তথা পরনিন্দা না করা।

নাচ-গান, জুয়া ও সব ধরনের অশ্লীলতা-বেহায়াপনায় লিপ্ত না হওয়া। দিনের বেলা হোটেল-রেস্তোঁরা ইত্যাদি খোলা না রাখা ।

রমজানে সংযম ও আত্মত্যাগের অনুশীলন এবং সেই সাথে ইসলামভিত্তিক ন্যায়-নিষ্ঠা, সত্য ও সততা প্রতিষ্ঠার দৃঢ় প্রত্যয় গ্রহণ প্রয়োজন।

ন্যায়-নিষ্ঠা ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠার জন্যে ত্যাগ ইতিহাসের ধারাবাহিকতায় প্রমাণিত, শাশ্বত ও জীবন্ত। নৈতিকতা, শালীনতা ও একত্রে ইফতার গ্রহণের মাধ্যমে সহমর্মিতার সদভ্যাস গড়ে তুলে- ব্যষ্টিক ও সামষ্টিক  কল্যাণ সাধনের পথ প্রশস্ত করার অনুশীলন করার  মাস হচ্ছে- রমজান।

বাঙ্গালী মননে চিরায়ত ইসলামী মূল্যবোধ, ধ্যান-ধারণা, চরিত্র, ধর্ম ও আদর্শ রক্ষা এবং সর্বগ্রাসী অপরাধ প্রবণতা রোধের অনুশীলনের চেতনা জোরদার  করার দারুণ সুযোগ আসে এ মাসে।

আরো কিছু বিষয় আমাদের বর্জন করে চলত্র হবে:

1. বিলম্বে ইফতার করা
2. সাহরী না খাওয়া
3. শেষের দশ দিন কেনা কাটায় ব্যস্ত থাকা
4. মিথ্যা বলা ও অন্যান্য পাপ কাজ করা
5. অপচয় ও অপব্যয় করা
6. তিলাওয়াতের হক আদায় না করে কুরআন খতম করা
7. জামা‘আতের সাথে ফরয সালাত আদায়ে অলসতা করা
8. বেশি বেশি খাওয়া
9. রিয়া বা লোক দেখানো ইবাদাত করা
10. বেশি বেশি ঘুমানো
11. সংকট তৈরি করা জিনিস পত্রের দাম বৃদ্ধির জন্য
12. অশ্লীল ছবি, নাটক দেখা
13. বেহুদা কাজে রাত জাগরণ করা
14. বিদ‘আত করা
15. দুনিয়াবী ব্যস্ততায় মগ্ন থাকা

পরম করুণাময় অতি দয়ালু আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের সকাশে সকাতর আর্তি- তিনি যেন আমাদের সকলকে মাহে রমজানের পবিত্রতা রক্ষা করার তৌফিক দান করেন এবং তার অফুরান অনুকম্পা ও করুণার বারিধারায় আমাদের সিক্ত করেন।

এ সম্পর্কিত আরও পোস্ট

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

Back to top button