দুর্যোগে মসজিদের জামাআতে নিষেধাজ্ঞা, আযানে পরিবর্তন, আমাদের আবেগ ও ইসলাম
পুরো বিশ্ব এখন প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাসের আঘাতে বিধ্বস্ত বিপর্যস্ত। ১৬২ দেশ এখন টালমাটাল। আমাদের দেশেও সরকারি হিসাবে গত ৯ দিনে ১৪ জন আক্রান্ত হয়েছে। এবং গতকাল প্রথম কোনো ব্যক্তি করোনায় মারা গেছে। জনবহুল ও ঘনবসতির এই দেশে সামনে ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হওয়ার প্রবল আশংকা রয়েছে।
করোনা থেকে সংক্রমণের আশঙ্কায় প্রায় দেশই এখন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সরকারি বেসরকারি সকল খাতকে বন্ধ ঘোষণা করেছে। ইংল্যান্ড সে দেশের সকল কার্যক্রমকে শাট ডাউন করে দিয়ে নাগরিকদের ঘরে থাকার নির্দেশনা জারি করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় সৌদি আরব, কুয়েত, জর্দানসহ মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশের শীর্ষ ওলামা ও ইসলামিক স্কলারগণ মসজিদে গিয়ে নামায আদায়ের ব্যাপারে ফাতাওয়া জারি করেছেন, ফলে এই সিদ্ধান্ত বা ফাতাওয়ার উপর ভিত্তি করে সেসব দেশে সাময়িকভাবে মসজিদে পাঁচ ওয়াক্ত নামায ও জুমার নামায আদায়ের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
বাংলাদেশের শীর্ষ আলেম-ওলামা তথা কওমী মাদরাসাগুলোর সর্বোচ্চ অথরিটি আল হাইআতুল উল্ইয়া লিল জামিয়াতিল কওমিয়্যাহ্ মাদরাসাগুলোতে আবাসিক ব্যবস্থাপনা বন্ধ না করলেও ক্লাস বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছে। অবশ্য এর আগে সরকার দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ১৭-৩১ মার্চ পর্যন্ত বন্ধ থাকবে বলে এক ঘোষণায় জানিয়েছে।
এসব তো গেলো খবরের কথা, কিন্তু আসল ঘটনা হলো, এরই মধ্যে এক শ্রেণির হুংকার ও হুমকি ধমকি শুরু হয়ে গেছে, কোনোভাবেই মসজিদের জামাত বন্ধ করা যাবে না, মাদরাসা বন্ধ করা যাবে না, রাজতন্ত্রের তলপিবাহক আলখেল্লাধারী আলেমরা আমাদের আদর্শ নয়, ইত্যাদি।
জিগ্যেস করতে মন চায়, তাহলে তাদের আদর্শ কারা? তাদের ক্বিবলা কোন দিকে? কিন্তু এতো সাহস আমার নেই। তাই জিগ্যেস করি না। পাছে আবার বদ দোয়া লেগে তো হালাক অনিবার্য। তবে এদেরকে কি চেতনাবাজ আবেগী ইসলামিষ্ট বলা যায় কি না! কি জানি! জানি না। এটা বোঝতে পারছি, এরা সস্তা আবেগের তবলা বাজিয়ে সরলমনা মানুষদের বিভ্রান্ত করছে। ইসলাম সম্পর্কে তাদের ভালো জানাশোনা ও দূর্যোগকালীন মূহুর্তে ইসলামের করণীয় নির্দেশনা সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা থাকলে এভাবে হাস্যকর ও বাস্তবতা বিবর্জিত বক্তব্য তারা দিতে পারতেন না। সবচেয়ে বেশি আশ্চর্য লাগে যখন দেখি বড় বড় আলেম-ওলামা ওয়ায়েজরাও অবুঝ হুজুগে পাবলিকের সুরে কথা বলেন। গতকাল টকশো ও ওয়াজে তিনজন বড় মুফতির বক্তব্য শোনলাম, সেকি তর্জন গর্জন। কি কঠিন যুক্তি। কোনোভাবেই নাকি মসজিদের জামাত নিষিদ্ধ করার সুযোগ নেই! আযানে নতুনত্ব আসার সুযোগ নেই। কথা তো ঠিক, তবে উনি যদি সঠিকটা জানতেন তাহলে হয়তো বলতেন মসজিদে আসাকে যে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে, আযানে যে নতুন শব্দ যোগ করা হয়েছে তা সঠিক, কুরআন সুন্নাহয় তার প্রমাণ রয়েছে।
আরেক বক্তা বললেন, মক্কা-মদীনাকে মুসলিমবিশ্ব থেকে আলাদা করে ফেলা হয়েছে! তাওয়াফ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। রওযায়ে আতহার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তিনি আরোও বলেন, আপনারা মক্কা-মদীনা মসজিদ বন্ধ করে দিয়ে ভেবেছেন আল্লাহর আযাব থেকে বেঁচে যাবেন, যদি ঘরেও আযাব আসে তখন কী করবেন? উনি বলছেন আর আবেগে কান্না করে বুক ভাসাচ্ছেন, সামনের জনগণও আবেগে কাঁদছে হুজুরের সঙ্গে।
আমি ভাবছিলাম, এতো আবেগ কোথ্যেকে আসে! এসবের বাস্তবতা কতটুকু! বাস্তবতার নিরিখে মক্কা-মদীনার সুরক্ষাকল্পে বক্তব্যগুলো কতটুকু সত্য ও যুক্তিযুক্ত! আর এসব কথা একজন আলেম কেমন করে বলেন! কিসের ভিত্তিতে বলেন! তারা তো বড় বড় আলেম। তারা ইসলাম জানেন না, কুরআন হাদীস বোঝেন না এমনটা তো নয়। তাহলে? এর উত্তর আমার জানা নেই। দিতেও চাই না। শুধু এতটুকু বলবো, আসুন কুরআনটা আরেকবার খুলে একটু দেখি, হাদীসের পৃষ্ঠাগুলো একটু উল্টাই। অনেকদিন হলো এগুলো দেখা হয় না, খোলা হয় না কিতাবগুলো। হয়তো ধুলাবালির স্তুপ পড়ে গেছে এগুলোতে।
আল্লাহ্ তা’আলার একটি বাণী ও রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর একটি হাদীস দিয়ে শুরু করা যাক।
আল্লাহ তাআলা বলোচ্ছ وَلَا تُلْقُوا بِأَيْدِيكُمْ إِلَى التَّهْلُكَة
“এবং তোমরা নিজেদেরকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিও না।” (সূরা বাক্বারা, আায়ত: ১৯৫)
রাসূলুল্লাহ সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সফরে বাহনে, প্রচন্ড বৃষ্টি ও তিব্র ঠান্ডার সময় ঘরে নামায আদায়ের অনুমতি দিয়েছেন। প্রবল বৃষ্টির দিনে রঈসুল মুফাসসিরীন আব্দুল্লাহ বিন আব্বাস রা. তার মুআযযিনকে নির্দেশ দিয়েছেন- حي على الصلاة এর পরিবর্তে صلوا في بيوتكم অর্থাৎ তোমরা মসজিদে না এসে ঘরে নামায আদায় করে নাও।
একালের ন্যায় সেকালেও কিছু মানুষ ইবনে আব্বাস রা. এর এই আদেশ শুনে হতভম্ব হয়ে গিয়েছিলো। তখন ইবনে আব্বাস রা. তাদের বলেছিলেন, আমার চেয়ে যিনি সেরা অর্থাৎ রাসূলুল্লাহ সাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামও এর অনুমতি দিয়েছেন। (সহীহ বুখারী)
এখন হয়তে কেউ কেউ বলবে, এখন তো বৃষ্টি নেই, ঠান্ডা নেই তবুও মসজিদে যাওয়া বন্ধ করতে হবে? বাস্তবতা হলো, প্রবল বৃষ্টি বা প্রচণ্ড ঠাণ্ডার তুলনায় করোনা ভাইরাস অনেক বেশি ভয়ঙ্কর। অনেক বেশি প্রাণঘাতি। আমাদের দেশে এখনো সেরকমভাবে আসেনি বিধায় মানুষ বোঝতে পারছে না।
এবার যাদেরকে দরবারী আলখেল্লাধারী আলেম বলা হচ্ছে তাদের সেই অন্যায় ফাতাওয়াটি একটু দেখে নিবেন আশা করি। কারণ তারা তো কুরআন-হাদীস আমাদের দেশের আলেমদের মতো এতোটা বোঝেন না, তাই ভুল করতেই পারেন!
মসজিদে পাঁচ ওয়াক্ত এবং জুমার নামায সাময়িকভাবে স্থগিত করা প্রসঙ্গে সৌদি আরবের সর্বোচ্চ ওলামা পরিষদের ফাতাওয়া।
তারিখ: ২২/৭/১৪৪১ হিজরি মোতাবেক ১৭/৩/২০২০ খৃষ্টাব্দ। ফাতাওয়া নং-২৪৭।
الحمد لله رب العالمين. والصلاة والسلام على نبينا محمد وعلى آله وصحبه أجمعين. أما بعد:
গত ২২/৭/১৪৪১ হিজরি (মোতাবেক ১৭/৩/২০২০ খৃষ্টাব্দ) মঙ্গলবার, রিয়াদে সৌদি কাউন্সিল অব সিনিয়র স্কলারস (সৌদি আরবের সর্বোচ্চ ওলামা পরিষদ) এর ২৫তম অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। অধিবেশনে তারা করোনা ভাইরাস, এর দ্রুত বিস্তার এবং ব্যাপক প্রাণহানির বিষয়টি পর্যালোচনা করেন। পাশাপাশি তারা এই মহামারী সংক্রান্ত বিভিন্ন নির্ভরযোগ্য মেডিকেল রিপোর্টও খতিয়ে দেখেন।
সৌদি আরবের স্বাস্থ্যমন্ত্রী উক্ত অধিবেশনে উপস্থিত হয়ে মহামারীর দ্রুত সংক্রমণ ও ভয়াবহতার বিষয়টি ব্যাখ্যা করেন। তিনি বলেন, এটি মানুষের জীবনের জন্য বিরাট হুমকি। সুতরাং এ বিষয়ে ব্যাপক সতর্কতা মূলক ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হলে, এই ঝুঁকি বহুগুণ বৃদ্ধি পাবে। তিনি আরও স্পষ্ট করেন যে, গণ জমায়েত সংক্রমণের প্রধান কারণ।
অধিবেশনে সিনিয়র স্কলারগণ মানুষের জীবন রক্ষার অপরিহার্যতা সংক্রান্ত কুরআন-সুন্নাহর বক্তব্যগুলো পর্যালোচনা করেন। যেমন:
আল্লাহ তাআলা বলেন: وَلَا تُلْقُوا بِأَيْدِيكُمْ إِلَى التَّهْلُكَة
“এবং তোমরা নিজেদেরকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিও না।” (সূরা বাকারা: ১৯৫)
তিনি আরও বলেন: وَلَا تَقْتُلُوا أَنْفُسَكُمْ إِنَّ اللَّهَ كَانَ بِكُمْ رَحِيمًا
“এবং নিজেদেরকে হত্যা করিও না। নিশ্চয় আল্লাহ্ তোমাদের প্রতি দয়াশীল।” (সূরা নিসা: ২৯)
এ দুটি আয়াত দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, জীবন নাশের কারণগুলো থেকে বেঁচে থাকা ওয়াজিব (অবশ্য কর্তব্য)।
এ ছাড়াও নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিম্নোক্ত হাদিসগুলো দ্বারা মহামারি বিস্তৃতি লাভের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বনের অপরিহার্যতা প্রমাণিত হয়। যেমন:
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, لا يُورِد ممرض على مصح- متفق عليه
“কোন ব্যক্তি যেন তার অসুস্থ উটকে সুস্থ উটের কাছে না নিয়ে যায়।” (বুখারি ও মুসলিম)
তিনি আরও বলেছেন, فر من المجذوم كما تفر من الأسد -أخرجه البخاري
“কুষ্ঠরোগী থেকে সেভাবে পালাও যেভাবে সিংহ থেকে পলায়ন করো।” (সহিহ বুখারী)।
তিনি আরও বলেন: إذا سمعتم الطاعون بأرض فلا تدخلوها وإذا وقع بأرض وأنتم فيها فلا تخرجوا منها- متفق عليه.
“যদি কোন এলাকায় মহামারীর কথা শুনো তবে সেখানে যেও না। আর যদি কোন এলাকায় তোমাদের থাকা অবস্থায় মহামারী সৃষ্টি হয় তাহলে সেখান থেকে বের হয়ো না।” (বুখারি ও মুসলিম)
আর শরিয়তের একটি একটি সু সাব্যস্ত মূলনীতি হল, لا ضرر ولا ضرار
“নিজের অথবা অন্যের কোনও ক্ষতি করা যাবে না।”
শরিয়তের আরেকটি মূলনীতি হল, أن الضرر يدفع قدر الإمكان
“যতটা সম্ভব ক্ষয়-ক্ষতি প্রতিহত করতে হবে।”
উপরোক্ত আলোচনার উপর ভিত্তি করে বলা যায়, (বিশেষ প্রয়োজনে) মসজিদে সকল ফরয এবং জুমাআর নামায বন্ধ করা শরীয়তের দৃষ্টিতে বৈধ। কেবল আযান দেওয়াই যথেষ্ট। তবে হারামাইন তথা মক্কা ও মদীনার দু’ মসজিদ এর আওতামুক্ত থাকবে। মসজিদের দরজা সাময়িকভাবে বন্ধ থাকবে। এ সময় মসজিদগুলোতে আযান চালু থাকবে আর আযানে বলা হবে: صلوا في بيوتكم
“সল্লূ ফী বুয়ূতিকুম।” অর্থাৎ “আপনারা বাড়িতেই সালাত আদায় করুন।”
ইবনে আব্বাস রা. থেকে মারফু সূত্রে বর্ণিত আছে যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তার মুয়াযযিনকে আযানে এ কথা বলার নির্দেশ দিয়েছিলেন। (বুখারী ও মুসলিম)
জুমার দিন বাড়িতেই যোহরের চার রাকআত সালাত আদায় করতে হবে।
আল্লাহর একটি অনুগ্রহ যে, ওযরের কারণে কেউ যদি পাঁচ ওয়াক্ত সালাত ও জুমার সালাত জামাতে আদায় করতে সক্ষম না হয় তবুও তাঁকে তার পূর্ণ সওয়াব দান করা হবে।
রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: إذا مرض العبد أو سافر كتب له مثل ما كان يعمل مقيماً صحيحاً
“বান্দা যদি অসুস্থ হয় অথবা সফরে যায় তাহলে সে সুস্থ ও আবাস অবস্থায় যে আমল করত মহান আল্লাহ তাকে তার সমপরিমাণ সওয়াব দান করেন।” (সহীহ বুখারী)
ওলামা পরিষদ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জারি করা প্রতিরোধ ও সতর্কতামূলক নির্দেশনাগুলো পরিপূর্ণভাবে মেনে চলার এবং তাদেরকে সহযোগিতার করার জন্য সকলকে উপদেশ দিচ্ছে।
আল্লাহ তাআলা বলেন: وَتَعَاوَنُوا عَلَى الْبِرِّ وَالتَّقْوَى وَلَا تَعَاوَنُوا عَلَى الْإِثْمِ وَالْعُدْوَانِ
“এবং তোমরা সৎকর্ম ও আল্লাহ ভীতির কাজে সহযোগিতা করো এবং পাপ ও সীমালঙ্ঘনের কাজে সহযোগিতা কর না।” (সূরা মায়িদা: ২)
এ সকল পদক্ষেপ ও নির্দেশনাগুলো যথাযথভাবে মেনে চলা মূলত: ‘সৎকর্ম ও আল্লাহ ভীতির কাজে সহযোগিতার অন্তর্ভুক্ত। অনুরূপভাবে আমাদের সুমহান দ্বীন আমাদেরকে আল্লাহর উপর ভরসা করার পর ‘পার্থিব উপায়-উপকরণ অবলম্বন’ করার যে নির্দেশ দিয়েছে এটি তা বাস্তবায়নের শামিল।
পাশাপাশি আমরা সবাইকে আল্লাহকে ভয় করা, অধিকহারে আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা এবং বিনীত ভাবে দোয়া করার জন্য উপদেশ দিচ্ছে।
আল্লাহ বলেন: وَيَا قَوْمِ اسْتَغْفِرُوا رَبَّكُمْ ثُمَّ تُوبُوا إِلَيْهِ يُرْسِلِ السَّمَاءَ عَلَيْكُمْ مِدْرَارًا وَيَزِدْكُمْ قُوَّةً إِلَى قُوَّتِكُمْ
“(হুদ আলাইহিস সালাম বললেন) হে আমার সম্প্রদায়, তোমারা তোমাদের পালনকর্তার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করো এবং তাঁর কাছে তওবা কর। তিনি তোমাদেরকে অঝোর ধারায় বৃষ্টি দিবেন এবং তোমাদের শক্তি বৃদ্ধি করবেন।” (সূরা হুদ, আয়াত: ৫২)
এখানে ‘শক্তি’ কথাটির মধ্যে জীবন-জীবিকার প্রাচুর্যতা, সার্বিক নিরাপত্তা এবং সর্ব প্রকার সুস্থতা ও বিপদাপদ থেকে মুক্তির বিষয়টিও অন্তর্ভুক্ত।
আমরা মহান আল্লাহর নিকট দুআ করি, তিনি যেন তাঁর বান্দাদের থেকে এ মহাবিপদ উঠিয়ে নেন এবং খাদেমুল হারামাইন শরীফাইন, ক্রাউন প্রিন্স এবং আমাদের বিচক্ষণ সরকারকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া মহামারীর প্রতিরোধে গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপ ও কার্যক্রমে অংশ গ্রহণ ও উল্লেখযোগ্য অবদান রাখায় উত্তম বিনিময় দান করেন। আরও দুআ করি, তিনি যেন সকলকে হেফাজত করেন।
فَاللَّهُ خَيْرٌ حَافِظًا وَهُوَ أَرْحَمُ الرَّاحِمِينَ
“কারণ আল্লাহই সর্বশ্রেষ্ঠ হেফাজত কারী ও সর্বাধিক দয়াশীল।” সূরা ইউসুফ: ৫৪)
وصلى الله وسلم على نبينا محمد وعلى آله وصحبه أجمعين.
যাকারিয়্যা মাহমূদ
১৯ মার্চ, ২০২০