বিশ্বজগতের প্রতিটি বিষয়ে রয়েছে আমাদের জন্য ইঙ্গিত
এই নিখিল বিচিত্র বিশ্বজগতের প্রতিটি বিষয় আমরা বোধশোধহীন মানুষকে কতকিছুই না ইঙ্গিত করে যায়! এক একটি ঘটনা আমাদেরকে জানান দিয়ে যায় জীবন যৌবনের প্রকৃত মানে। আপনি যে দুটি ছবিটি দেখছেন তা প্রিন্স মনসূর বিন মুকরিন আল সৌদের। যিনি গত শনিবার হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে মারা গেছেন। প্রথম ছবিতে মাঝখানে আপনি দেখছেন প্রিন্স মনসূর বিন মুকরিনের বিয়ের রাতের ছবি। ডানপাশে রয়েছেন পিতা মুকরিন ও বামপাশে শ্বশুর প্রিন্স সাউদ বিন ফাহাদ। ছবিটিতে আপনি স্পষ্টভাবেই দেখতে পাচ্ছেন যে, তাদের চেহারায় অবারিত খুশি ও আনন্দের ধারা বিদ্যমান। সুশোভিত শান্তির আভা বিরাজমান।
এবার আপনি দ্বিতীয় ছবিটির দিকে লক্ষ্য করুন। এখানে আপনি একটি লাশ দেখতে পাচ্ছেন। হ্যাঁ আপনি ঠিকই দেখতে পাচ্ছেন মাঝের লাশটি আর উপরের ছবির মাঝের মানুষটি একই ব্যক্তি! সেদিনের বর আজকের মৃত লাশ। হ্যাঁ তিনি প্রিন্স মনসূর বিন মুকরিন! লাশ বহনকারী মানুষ দুটিও সেই একই মানুষ। পিতা ও শ্বশুর। এখানেও তারা পূর্বের ন্যায় যথাক্রমে ডান বামপার্শে রয়েছেন। কিন্তু…!
কিন্তু আজকের এই ছবি আর সেদিনের সেই ছবির মাঝে কতইনা বাবধান! সেদিন তাদের মুখে ভুবনজয়ী হাসি ছিল। সুখ, ভালবসা, শান্তি ও প্রাপ্তির দ্যুতি ছিল। কিন্তু আজ? …
আজ তাদের মুখে সেই হাসি আর আনন্দের ঝিলিক নেই, সুখ ও আনন্দের কোন বার্তা নেই। নেই কোন রাজকীয় স্তুতি ও বন্দনা!
আজ কেবলই শুধু অমলিন অবয়বে, বিষণ্ণ দুনয়নে স্বজনের রোনাজারি, বিধ্বস্ত ব্যথাতুর হৃদয়ের হাহাকার!
হে আল্লাহ্ তুমি আমাদের তোমার ক্ষমা ও সন্তুষ্টি ব্যতিত পৃথিবী থেকে উঠিয়ে নিও না।
লেখক: যাকারিয়্যা মাহমূদ মাদানী
বি. এ. অনার্স, এম. এ, এমফিল:
মদীনা বিশ্ববিদ্যালয়, সৌদি আরব ও আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম
প্রিন্সিপাল: মানাহিল মডেল মাদরাসা, মিরপুর-১, ঢাকা
পরিচালক: ভয়েস অব ইসলাম।