উপমহাদেশে ইসলামের আগমন ও মুহাম্মদ বিন কাসিম

ইসলামের পূর্ব থেকেই ভারত উপমহাদেশের সাথে আরব ব্যবসায়ীদের বাণিজ্যিক সুসম্পর্ক বিদ্যমান ছিলো। সেই সুবাদে এই অঞ্চলের বিভিন্ন বন্দর নগরে আরবদের প্রায়ই দেখা যেতো। ছিলো এ দেশের মাটি ও মানুষের সাথে তাদের নিবিড় সম্পর্ক। যখন আরবে ইসলামের আবির্ভাব হলো তখন এই আরব বণিকদের মাধ্যমেই ভারত বর্ষের বিভিন্ন অঞ্চলে ইসলামের প্রচার প্রসার ঘটে। পরবর্তীতে ইসলাম প্রচারের এই মোবারক কাফেলায় যুক্ত হন মহানবী মুহাম্মাদ (সা) এর সাহচর্যে ধন্য তাঁর সাহাবাগণ (র.)। ইতিহাস থেকে জানা যায়, বাংলাদেশে সর্বপ্রথম ইসলামের আগমন ঘটে রাসূল্লাহর (স.) এর যুগে তাঁরই সাহাবীদের মাধ্যমে। বন্দরনগরী চট্টগ্রাম হয়ে এ দেশে আগমন করেন রাসূল্লাহর (স.) এর সম্মানিত চার জন সাহাবী।

মাওলানা মুহাম্মদ ইসহাক ভাট্টি। একজন পাকিস্তানি গবেষক আলেম ও ঐতিহাসিক। তিনি অনেক দিন আগেই তিনি ইন্তেকাল করেছেন। মাওলানা ভাট্টি উপমহাদেশে প্রথম ইসলামের আগমন ও প্রচার-প্রসার সম্পর্কে লিখতে গিয়ে তার সুপ্রসিদ্ধ ‘বাররে সগীর মে ইসলামকে আরোয়ালীন নুকূশ’ (উপমহাদেশে ইসলামের প্রথম চিত্রাবলি) গ্রন্থে এমন ২৫ জন সাহাবীর নাম উল্লেখ করেছেন যাদের আগমনের ধারা হযরত ওমর (র.) এর খেলাফতকালে শুরু হয়। তবে অন্যান্য ঐতিহাসিক নিদর্শন তথ্য প্রমাণ করে যে, হযরত ওমরের খেলাফোতকালে নয়, বরং স্বয়ং রাসূল (স.) এর যুগেই উপমহদেশে ইসলামের প্রথম আগমন ঘটে। হযরত ওমরের সময় সেটির ব্যাপকতা আরো বৃদ্ধি পায়।

এই ঐতিহাসিক আলেমের মতে সাহাবী হযরত হাকাম বিন আবুল আস। ভারতের গুজরাট কাথিয়াবাড় অঞ্চল জয় করেন, এবং তার ভাই প্রসিদ্ধ সাহাবী মুগীরা বিন আবুল আস সাকাফী র. সিন্ধুর দেবল শহর জয় করেন। তবে ভারতবর্ষে ইসলামের ঊষালগ্নেই তার আগমন, মুসলিম অভিযান, গুজরাট এবং সিন্ধুর দেবল বিজয় লাভ করলেও ৭১১ ঈসায়ী সাল পর্যন্ত ইসলামী খেলাফত ও শাসনের বাইরে ছিলো।

৭০৫ ঈসায়ী সালটি মুসমানদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বছর। এ বছর উমাইয়া খেলাফতের সিংহাসনে আরোহণ করেন ওয়ালিদ ইবনে আবদুল মালিক। তিনি ক্ষমতায় আরোহণের পর মুসলমানদের বিজয় অভিযান নতুন করে শুরু হয়। পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্ত পর্যন্ত তিনি বিজয়ের স্বপ্ন দেখেন। শুরু হয় পৃথিবীর দিকে দিকে মুসলিম অভিযান। একদিকে আফ্রিকা ও স্পেনে মুসা বিন নুসাইর ও তারিক বিন যিয়াদ অপরদিকে মধ্য এশিয়ায় কুতাইবা বিন মুসলিমের নেতৃত্বে মুসলমানদের বিজয় অভিযান পরিচালিত হতে থাকে। তারিক বিন যিয়াদ ৭১১ ঈসায়ীতে জাবালুত তারিক প্রণালী (জিব্রালটার) অতিক্রম করে স্পেনে প্রবেশ করেন। স্পেনের দাম্ভিক রাজা রডরিককে শোচনীয়ভাবে পরাজিত করে মুসলিম সেনাপতি হিসেবে তিনিই প্রথম ইউরোপের বুকে তার পদচিহ্ন এঁকে দেন। অন্যদিকে সেনাপতি কুতাইবা বিন মুসলিম চীনের কাশগড় পর্যন্ত দখল করে নেন।

তৎকালীন সময়ে ভারতের দক্ষিণে বর্তমান শ্রীলংকায় কিছু আরব বণিকের বসবাস ছিলো। এক বাণিজ্যিক সফরে আকস্মিক দুর্ঘটনায় তাদের অনেকে নিহত হন। ফলে তাদের পরিবারগুলো শ্রীলংকায় অসহায় হয়ে পড়ে। তাই খেলাফতের পক্ষ থেকে নিহত বিধবা স্ত্রী ও এতিম সন্তানদের ফিরিয়ে নেয়ার ব্যবস্থা করা হয়। অসহায় এই পরিবারগুলোকে প্রেরণের সময় তাদের সাথে শ্রীলংকার রাজা মুসলিম খলীফার জন্য কিছু মূল্যবান উপহার সামগ্রী প্রেরণ করেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক ভাবে ভারত সীমান্ত পার হওয়ার পূর্বেই সিন্ধু রাজ্যের সীমানায় জলদস্যুদের দ্বারা এই সম্পদ লুণ্ঠিত হয়। পরিবারগুলোকে বন্দী করা হয়। নারীরা নির্যাতনের শিকার হন।

উমাইয়া গর্ভনর হাজ্জাজ বিন ইউসুফের কাছে এই নিষ্ঠুর ও দুঃখজনক ঘটনার সংবাদ পৌছলে তিনি সিন্ধুর তৎকালীন রাজা দাহিরের নিকট এই ঘটনার প্রতিকার এবং অসহায় পরিবারগুলোকে উদ্ধার করার জন্য সাহায্য চেয়ে একটি চিঠি লিখেন। কিন্তু রাজা দাহির ঔদ্ধত্য ও ঘৃণাভরে হাজ্জাজের সেই আহবান প্রত্যাখ্যান করেন।

রাজা দাহিরের এই ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণে ক্রুদ্ধ হয়ে হাজ্জাজ বিন ইউসুফ সিন্ধুর বিরুদ্ধে পরপর দুইটি অভিযান পরিচালনা করেন। কিন্তু দুইটি অভিযানই ব্যর্থ হয়। তৃতীয়বার অভিযান প্রেরণের সময় হাজ্জাজ সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করেন। তিনি এ অভিযানে বাছাই করেন দুর্বার সাহসী ও অভিজ্ঞ সৈনিকদের। গঠন করেন স্পেশাল ফোর্স। এই ফোর্সের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য তিনি বাছাই করেন তারই আপন ভ্রাতুষ্পুত্র ও জামাতা মুহাম্মদ বিন কাসিমকে। যদিও তখন তার বয়স ছিলো খুবই কম, মাত্র ১৬ বছর। তথাপিও তিনি ছিলেন সেনাবাহিনীর একজন চৌকস দক্ষ ও অভিজ্ঞ কমান্ডার। ৭১২ ঈসায়ীতে মাত্র ১৬ বছর বয়সের দুর্দান্ত সেনানায়ক মুহাম্মদ বিন কাসিমের নেতৃত্বে এই দুর্ধর্ষ মুসলিম বাহিনী সিন্ধু বিজয়ের জন্য বেরিয়ে পড়ে। মুহাম্মদ বিন কাসিম একজন দক্ষ সমরবিদ ছিলেন। তিনি তার বাহিনীকে কৌশলগত কারণে দুইভাগে ভাগ করেন। একভাগ মাকরান সীমান্ত দিয়ে স্থলপথে সিন্ধুতে প্রবেশ করে। অপরটি জলপথে সিন্ধুর দেবল বন্দরে এসে উপস্থিত হয়। তিনি প্রথমে দেবল অবরোধ করেন। খুব দ্রুত তার হাতে দেবলের পতন ঘটে। দেবলের পর একে একে সিন্ধুর অন্যান্য শহরগুলোরও মুহাম্মদ বিন কাসিমের হাতে পতন ঘটে। এটি ছিলো ৮৯ হিজরীর রবিউল আউয়াল মাসে।

৭১২ ঈসায়ী সালের ১০ রমাদান মুহাম্মদ বিন কাসিম সিন্ধু নদী আক্রমণ করেন, অতঃপর এবং সিন্ধুর তৎকালীন রাজধানী ব্রাক্ষ্মনাবাদের দিকে অগসর হতে সেখানে রাজা দাহিরের প্রতিরোধের সম্মুখীন হন। রাওর দুর্গের কাছে টানা কয়েক দিনের লড়াইয়ে মুহাম্মদ বিন কাসিমের বাহিনীর কাছে পরাজিত হয় সিন্ধু রাজার সুসজ্জিত বাহিনী। রাজা দাহির যুদ্ধের ময়দানেই নিহত হন। মুহাম্মাদ বিন কাসিম সিন্ধুকে পদানত করে মুসলমানদের চূড়ান্ত বিজয় ছিনিয়ে আনেন। পতন হয় কোট্টর হিন্দুত্ববাদী এক দাম্ভিক ফ্যাসিস্ট স্বৈর শাসক রাজার।

রাজা দাহির পরাজিত ও নিহত হন। রাজা দাহির পরাজিত হওয়ার পর তিনি রাজধানী ব্রাক্ষ্মনাবাদ দখল করে নেন। অতঃপর সেখান থেকে তিনি অপহৃত শ্রীলংকা থেকে আগত মুসলিম নারী ও শিশুদের উদ্ধার করেন। এর পর তিনি দ্রুত সিন্ধুর বাকি অংশ এবং সিন্ধুর অধীনস্ত বর্তমান পাকিস্তানের দক্ষিণ পাঞ্জাবের মুলতান দখল করে নেন। সিন্ধু ও মুলতান বিজয়ের পর মুহাম্মদ বিন কাসিম এ অঞ্চলে ন্যায়বিচার ও সত্য সুন্দর সাম্যের শাসন প্রতিষ্ঠা করেন। মুহাম্মদ বিন কাসিম প্রতিষ্ঠিত ইসলামের মানবাধিকার, সাম্য, মৈত্রী, আদল, ইনসাফ, ও ন্যায়বিচারের শাসনব্যবস্থার অপার সৌন্দর্যে বিমুগ্ধ হয়ে সিন্ধুর জনসাধারণ দলে দলে ইসলামের শান্তির ছায়াতলে আশ্রয় গ্রহণ করে। আর কেনইবা করবে না? বর্ণ, গোত্র, জাতপাতের নিষ্ঠুর নির্মমতায় বিপর্যস্ত সিন্ধুর আপামর সাধারণ মানুষের কাছে এ যে ছিলো আকাশছোঁয়া প্রাপ্তি।

সিন্ধু বিজয়ের মহানায়ক উমাইয়া সেনাপতি মুহাম্মদ বিন কাসিমের পুরো নাম ইমাদউদ্দিন মুহাম্মদ বিন কাসিম আল সাকাফি। তিনি মুসলিম বিজয় ইতিহাসের মহাবীর এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। তিনি সৌদি আরবের তায়েফের সাকিফ গোত্রের লোক ছিলেন। মুহাম্মাদের পিতা কাসিম বিন ইউসুফ তার বাল্যকালে মৃত্যুবরণ করেন। তার মা নিজেই এতীম পুত্রের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তাকে শিক্ষাদীক্ষা দিয়ে মানুষ করে তোলেন। অতঃপর মুহাম্মদ বিন কাসিম সেনাবাহিনীতে যোগদান করেন। তার চাচা প্রখ্যাত উমাইয়া গভর্নর হাজ্জাজ বিন ইউসুফ তাকে সামরিক শিক্ষা বা যুদ্ধবিদ্যা এবং রাষ্ট্র ও সরকার পরিচালনা জ্ঞান শিক্ষা দেন। সিন্ধু যাত্রার পূর্বে মুহাম্মদ বিন কাসিম তার চাচাত বোন হাজ্জাজের কন্যা যুবাইদাকে বিয়ে করেন। মুহাম্মাদ বিন কাসিমের আরেক চাচা মুহাম্মদ বিন ইউসুফ ছিলেন ইয়েমেনের গভর্নর ।

উপরোক্ত আলোচনা দ্বারা এটি প্রতীয়মান হয় যে, ভারতবর্ষে ইসলামের আগমন ও প্রচার ঘটেছে ইসলামের সূচনালগ্নেই। কিন্তু কোনো কোনো ঐতিহাসিকের মতে ভারতবর্ষে ইসলামের আগমন ও প্রসার ঘটেছিলো মুহাম্মদ বিন কাসিমের হাত ধরে সিন্ধু বিজয়ের মাধ্যমে। তাদের এই বক্তব্য যে সঠিক নয় তা উপরের আলোচনা থেকে স্পষ্ট। মাওলানা ভাট্টিও একই অভিমত ব্যক্ত করেছেন। তার মতে মুহাম্মদ বিন কাসিমের সিন্ধু আক্রমণের ৭৮ বছর আগে উপমহাদেশে ইসলামের আগমন ঘটে। তবে তার এই দাবিও ইতিহাস সমর্থন করে না। বরং এটিই সঠিক যে, ইসলামের সূচনাকালেই সাহাবী ও আরব বণিকদের মাধমে ভারতবর্ষে ইসলামের আগমন ঘটেছিলো।

মাওলানা ভাট্টি প্রাসঙ্গিকভাবে বিভিন্ন বিষয়ের অবতারণা করেছেন। যেমন ঐতিহাসিকদের মতে সিন্ধু বিজয়কালে মুহাম্মাদ বিন কাসিমের বয়স ছিলো ১৭ বছর। কিন্তু তিনি দাবী করেছেন, মুহাম্মদ বিন কাসিম যখন সিন্ধু আক্রমণ করেন তখন তার বয়স ১৭ নয় বরং ২৮ বছর ছিলো। তিনি এও বলেছেন যে, মুহাম্মাদ বিন কাসিম হাজ্জাজ বিন ইউসুফের ভাতিজা ছিলেন, তবে জামাতা ছিলেন না। তিনি এটাও ঊল্লেখ করেছেন যে, মুহাম্মদ বিন কাসিম তার সেনাবাহিনীতে অনেক অমুসলিমকেও নিয়োগ দিয়েছিলেন। অবশ্য ইতিহাস পঠকদের নিকট এগুলো মাওলানার বিচ্ছিন্ন ও ভিন্নমত হিসেবে বিবেচিত। তবে এটাও ঠিক যে, ইতিহাস ঠিক এ ধরণের জায়গায় এসে আমাদের কোনো সঠিক সমাধান দিতে পারে না। এটি ইতিহাসের অপারগতা নয়, আমাদের অক্ষমতা ও ব্যর্থতা। কারণ ইতিহাস তার নিজস্ব গতিতে ইতিহাস হয়েই বয়ে যায়। চলে যায় মিশে যায় স্বকীয়তায় ভেসে সময়ের স্রোতে। তবে এই ইতিহাস বড়ই নির্মম ও নিষ্ঠুর, সে কাউকে ক্ষমা করেনা। আর আমরা বড়ই নির্বোধ, ইতিহাসের সেই নিষ্ঠুরতা ও নির্মমতা থেকে কোন শিক্ষা গ্রহণ করি না।

৭১৫ ঈসায়ী সাল। মুসলমানদের জন্য এ বছরটি অত্যন্ত দুঃখ ও ভ্রারাক্রান্তের। খলীফা ওয়ালিদ বিন আবদুল মালিক এ বছর ইন্তেকাল করেন। এবং তার স্থলাভিষিক্ত হয়ে সিংহাসনে আরোহণ করেন তার ছোট ভাই সুলাইমান বিন আবদুল মালিক। সুলাইমান ছিলেন হাজ্জাজের উপর নাখোশ ছিলেন। তিনি হাজ্জাজকে শত্রুজ্ঞান করতেন। কিন্তু খলীফা হওয়ার পূর্বে হাজ্জাজ ইন্তেকাল করায় হাজ্জাজের কোনো প্রকার প্রতিশোধ গ্রহণে ব্যর্থ হন। ফলে তিনি হাজ্জাজের সাথে সংশ্লিষ্ট তার পরিবারের সদস্য ও শুভাকাঙ্খীদের উপর দমন নিপীড়ন শুরু করেন। তারই ধারাবাহিকতার অংশ হিসেবে তিনি মুহাম্মদ বিন কাসিমকে রাজধানী দামেশকে ডেকে পাঠান, এবং অন্যায়ভাবে তাকে গ্রেফতার করেন। ৭১৫ ঈসায়ীতে মাত্র বিশ বছর বয়সে মুহাম্মদ বিন কাসিমকে খলীফা সুলাইমান বিন আবদুল মালিকের আদেশে নির্দয়ভাবে হত্যা করা হয়।

মাত্র বিশ বছর হলেও এই অতি অল্প সময়ের মধ্যেই মুহাম্মদ বিন কাসিম তার কর্মের দ্বারা ইসলামী সভ্যতার ইতিহাসের একজন শ্রেষ্ঠ মহানায়ক ও চির স্মরণীয় ব্যক্তিত্বে পরিণত হন। তার হাত ধরেই সিন্ধু ও মুলতান ইসলামী খেলাফতের অন্তর্ভুক্ত হয়। সূচীত হয় ভারত উপমহাদেশ ইসলাম ও মুসলমানদের বিজয়ের উপলব্ধি। প্রশস্ত হয় মুসলিম জাগরণের সুপ্রশস্থ পথ। সুলাইমানের অযাচিত শত্রুতার শিকার না হলে হয়তো তিনি গোটা ভারতবর্ষে ইসলামের বিজয় পতাকা নিয়ে যেতে সক্ষম হতেন।

প্রতিবছর ১০ই রমাদান তার সিন্ধু বিজয়ের স্মরণে পাকিস্তানে ‘ইয়াউম বাবুল ইসলাম’ নামে একটি উৎসব পালন করা হয়। মুহাম্মাদ বিন কাসিম জন্মগ্রহণ করেন ৬৯৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর। তিনি ৭১৫ সালের ১৮ ই জানুয়ারি তাকে শহীদ করা হয়। আল্লাহ্‌ তাকে জান্নাতের সুউচ্চ মাকামে অধিষ্ঠিত করুন।

লেখক: মুফতি যাকারিয়্যা মাহমূদ মাদানী
প্রিন্সিপাল: মানাহিল মডেল মাদরাসা, মিরপুর, ঢাকা
পরিচালক: ভয়েস অব ইসলাম ও ইসলামিক গাইডেন্স।
[email protected]

এ সম্পর্কিত আরও পোস্ট

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

Back to top button